দেশের সকল মহানগর,জেলা ও উপজেলা নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী
দেশের সকল মহানগর,জেলা ও উপজেলা নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী
ডেস্ক রিপোর্টঃ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে নির্বাচনী মাঠ টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আটদিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) জানানো হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এছাড়াও সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার যোগে দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্র সমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামার কথা থাকলেও পরে তা পাঁচ দিন পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি করা হয়।