দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের চাল চোরের মুখোশ খুলে দিতে অনুসন্ধান চলছে
দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের চাল চোরের মুখোশ খুলে দিতে অনুসন্ধান চলছে
*******মোকলেছুর রহমান *******
দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নে ২৩ বস্তা জেলে কার্ডের চাল নিয়ে প্রভাবশালীদের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ির খবর ও প্রমান মিলেছে।
দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জেলে কার্ডের চাল নিয়ে একাদিক অভিযোগ ও অনিয়মের চিত্র দেশের মানুষ ইতি মধ্যে জেনেছেন।
গত ইং ৩১মে রোজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তি দাকোপ থানা পুলিশ সরকারি চাল ২৩ বস্তা ট্রলারসহ তিন জনকে আটক করে নিয়ে যান, দাকোপ থানা পুলিশ।
এঘটনায় পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ১ লা জুন সকাল ১১ টার সময় খরব আধুনিকতার মাধ্যমে চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির সহ একজন প্রতিনিধি সাথে করে ছেটে যান দাকোপ থানায়।
থানা দফায় দফায় বৈঠকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধায় হয়ে যায়। অবশেষে জানা যায়, চাল ওই এলাকার এক জন মুদি দোকানদারের। তিনি জনগনের থেকে ক্রয় করেছেন এমনটা জানান চেয়ারম্যান।
এমন প্রমাণ ও সাক্ষী অপর দু আসামীর জবানবন্দি দেওয়ায় দাকোপ থানা পুলিশ সঠিক তথ্য প্রমাণ সঠিক ভাবে না পাওয়ায়।
উক্ত আসামিদের হইতে একটি লিখিত নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন। এবং ট্রলারসহ তিন আসামিকে চেয়ারম্যানের জামিনদারে ছেড়ে দেন।
পরে ঘটনারস্থাল ৫ নং ওয়ার্ডে হওয়ায় মোবাইলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ জাহিদ আলী ফকিরের নিকট, তিনি সাংবাদিককে জানান, আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না, কার চাল কোথায় ধরেছে, আমি কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বলেই ফোন কলটির সংযোগ বন্ধ করেন।
এখানে সাধারণ মানুষের একটি প্রশ্ন দুনিয়ার সকল মানুষ ফেসবুক ও বিভিন্ন আধুনিকতার মাধ্যমে ২৩ বস্তা চালের ব্যপারে একজন ইউপি সদস্য হয়ে যানতে পারছে না এটা আবার কেমন কথা?
এখানে অসহায় মানুষ, নিরক্ষর ব্যক্তি কেটে খাওয়া মানুষ, অসহায় মানুষের হক নিয়ে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে তারপরও জনপ্রতিনিধি কিছুই জানতে পারছেন না।
উক্ত ঘটনার বিষয়ের পূর্বে সুতারখালী ইউনিয়নে জেলে কার্ডের চাউল দেওয়া নিয়ে চরম অনিয়মে অভিযোগ উঠে। সরকারি ভাবে প্রত্যেক জেলেকে ৫৬ জন কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলে দেওয়া হয় ৪৬ থেকে ৪৮ কেজি পর্যন্ত।
ওই সময় সুতারখালী ইউনিয়নের অনেক এলাকা ঘুরে গোপনে প্রকাশ্যে খবর নিয়ে জানা যায়,জেলেদের সাথে কথা বলে সাক্ষাৎ নিয়ে সরাসরি প্রমানিত হয় চাল কম দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় যখন সাংবাদিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তখন ওই মহূর্তে কম দেওয়া চাল আড়াল করতে বিভিন্ন কায়দায় চেষ্টা ও কৌশল অবলম্বন করেন।
সর্ব শেষ গত ইং ৩১জুন রাত নয়টার সময় নলিয়ান বাজারে অবস্থিত ৫নং ওয়ার্ডের অধীনে অবস্থিত একটি গোডাউন থেকে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় চাল ধারন করা হয়।
রাত আনুমানিক ১২ টা পর্যন্ত সরকারি চাল উক্ত আটককৃত ট্রলারে উঠানো হয় বলে,গোপনে জানা যায়।
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ এলাকার জনগন এ বিষয় পরিষ্কার তথ্য দিয়েছেন।
তাছাড়া ওই ইউনিয়নের দুই সাহসী মানুষ,গরীবের সাথে, সততার সাথে, গরীবের কান্ডারী হয়ে সব সময় নির্ভয়ে কাজ করে চলেছেন।
এবং ইতি মধ্যে মোঃ আনিসুর রহমান ও গাজী নাজমুল হাসান,
২৩ বস্তা চাল,জেলে কার্ডের চাল কম দেওয়াসহ অনিয়ম অভিযোগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনে দুদকে মামলা করেছেন। এবং সকলকে এগিয়ে আসে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পাশে থাকার আহ্বান জানান।