মোকলেচুর রহমানঃ দাকোপ উপজেলার সুতারখালি ইউনিয়নের গুনারী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী খুন হওয়ার তিন দিন পর ১ নং আসামী (১১ সেপ্টেম্বর) জেল হাজতে আত্মসমর্পণ করেছে। জানা যায়, উপজলার গুণারী গ্রামে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় বিষুপদ মন্ডলের গরু (বাচুর)একই এলাকার বাসিন্দা মিলন গোলদারের আমন ধানের ক্ষেতে (বাচুর) গরু পাতা নষ্ট করে ও খায়। ওই সময় বিষুপদ মন্ডলের স্ত্রী রেখা রানী মন্ডল (৪২) গরু আনতে গেলে, মিলন গোলদার বিশ্রী ভাষা ব্যবহার করে এবং এক পর্যায়ে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় রেখা রানী মন্ডলকে নাকে মুখে মাথায় আঘাত করে। স্ত্রীর চিৎকারে স্বামী বিষুপদ মন্ডল বাঁচাতে ছুটে গেলে বাঁচাতে ছুটে গেলে বেদম মারপিট করে। ঘটনাস্থলে বিষুপদ মন্ডল মারাত্মক জখম হয়। এবং স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তারপর মিলন গোলদার ও তার পরিবার আত্মা গোপনে যায়। ওই দিন দাকোপ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে দাকোপ থানা পুলিশ আসামি ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও অভিযান অব্যাহত রাখে। ঘটনার ওই দিন অভিযান পরিচালনা করে ২নং আসামি মিলন গোলদারের মাতা চিরতা গোলদারকে পুলিশ আটক করে। দাকোপ থানা পুলিশ ১নং আসামি ধরার জন্য কঠোর নজর রাখে। সর্ব শেষ আজ (১১সেপ্টেম্বর) গোপনে সকাল ১১ টায় আসামী মিলন গোলদার খুলনা বিজ্ঞ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিায়। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ জনগণের মাঝে এক শান্তির নিঃশ্বাস পায়। এলাকাবাসি তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া একটি সুত্রে জানা যায়, দাকোপ থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি)মোঃ সিরাজুল ইসলাম একজন মানবিক আর সাহসী মানুষ। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন না। তিনি সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে থেকে দাকোপের জনগণকে আইনী পরামর্শ সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। তেমনি আসামী মিলন গোলদারকে ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এবং সর্ব শেষ আসামি কোন উপায় না পেয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোকলেছুর রহমান| প্রধান নির্বাহী সম্পদক: মোঃ ওলি উল্লাহ বার্তা ইমেইল: alorkhabor@gmail.com অফিস ঠিকানাঃ খাটাইল বাজার, পানখালী, দাকোপ খুলনা। মোবাইল: ০১৭৩০ ৬৫৮ ৭৪৯
ইপেপার