মোকলেচুর রহমানঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবক আজিজুল এর মৃত্যু নিয়ে এলাকা বাসির মাঝে গুনজন আর আলোচনা। জানা যায়,গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে লাউডোব ইউনিয়নের রুয়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ অজেত শেখের ছোট পুত্র আজিজুল ইসলাম শেখ রাতে মাছ ধরার জন্য পাশের একটি সরকারী (খাল) নদীতে যায়।ওই একই এলাকার নুর মোহাম্মদ মুল্লিকের নিজ ইজিবাইক গাড়িটি যাতায়াতের পথে রাস্তার উপর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চার্জে রাখা ছিল। ওই সময় যুবক আজিজুল ওই পথ দিয়ে যাওয়ার মহূর্তে ইজিবাইক স্পর্শ করার সাথে সাথে পাশে গেউয়া গাছের নিচে পড়ে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন ও ইজিবাইক মালিক নুর মোহাম্মদ বিষয়টি জানতে পারে এবং বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে। ওই সময় বিষয়টি ইজিবাইক মালিক ধামাচাপা ও গোপন রেখে আজিজুলের পরিবারকে প্রথমে বলে সাপে কামড়িয়েছে, পরে স্থানীয় ওঝার নিকট গেলে সাপে বা কোন বিষাক্ত কিছুতে আঘাত করিনি। আপনারা দ্রুত চিকিৎসাকের নিকট নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক বাজুয়ার ডাঃ মুরালি বাবুর নিকট নিয়ে গেলে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে। তারপর ইজিবাইক মালিক আবারও মৃত্যুর বিষয় সত্যতা এড়িয়ে স্ট্রোক জনিত কারণ দাবি করেন। তখন কোন প্রশাসনিক বা আইনী কোন প্রক্রিয়া ছাড়া লাশ দ্রুত দাফন কাপনের জন্য পরিবারের সদস্যদের জোর করে। তখন চাপে পড়ে আজিজুলের পরিবার দাপন কাফন সম্পন্ন করে।স্থানীয় ভাবে ইজিবাইক মালিক গোপনে কোন ঝামেলা ছাড়া ১০ কাটা জমির বিনিময়ে যুবকের পরিবারের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আনিসুর বাবলু এর নেতৃত্বে যুবকের বড় ভাইয়ের সহযোগীতায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টকে অপমৃত্যু বা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে অর্থের লোভে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ চলছে। এবিষয় স্থানীয় সাধারণ জনগন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয় না। কিন্তু ওই সময় গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র ও ইউপি সদস্য আনিসুর রহমানের পুরো মৃত্যুর বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার কথোপকথন রেকর্ড হয়। এ ছাড়া ইজিবাইক মালিক নুর মোহাম্মদ মুল্লিক পরিষ্কার বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যুর বিষয় স্বীকারোক্তি ও জবানবন্দি রেকর্ডে রয়েছে। এ বিষয় স্থানীয় এলাকা বাসি ও সুশীল সমাজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ