স্কুলে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে/৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ,

মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম _খুলনা //
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করার পর ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৬৯ নম্বর বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই ঘটনা ঘটে।অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো- ঈশ্বরীপুর এলাকার আনারুল গাজীর মেয়ে তৈয়েবা (১২), সঞ্জয় কুমার সাহার মেয়ে ঈষিতা সাহা (১০), বংশীপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে মারিয়া (১০) ও চন্ডিপুর এলাকার আল ইমরানের মেয়ে ইলমা (১১)।জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৬৯ নম্বর বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থী মারিয়ার বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, মশক নিধন হোক সেটা আমরা চাই। কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে যেন মশা নিধন না করা হয়। ওষুধ ছিটানোর সময় তাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল।স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন মিস্ত্রি ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করায় শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে।ওই নির্দেশনা কার্যকরের জন্য আজ সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম থেকে বের করে ক্লাসরুমের ভেতরে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এরপর প্রায় আধাঘণ্টা পরে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।পরে ক্লাসরুমে ঢোকার পরেই কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছি।শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা ইদ্রিস ইভা জানান, মশার ওষুধের বিষক্রিয়ার ফলেই শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ