ডেস্ক রিপোর্টঃ শেষ পর্যন্ত ৩৫ ঘণ্টা পর খুলনার পানখালী ফেরিঘাট পল্টুন থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ শিশু রূধীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার (৮ মে) ভোর ৬ টায় ফেরি ঘাটের অদূরে নদীরচর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রূধী বটিয়াঘাটা উপজেলার মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা রতন চন্দ্র রায়ের একমাত্র কন্যা।সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দাকোপের স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাশার। তিনি বলেন, সোমবার (৬ মে) রাত ৯টা থেকে নিখোঁজ ওই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। তবে রাতে প্রতিকূল আবহওয়ায় নদীতে নামতে পারেনি ডুবুরিরা। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর ৬টা থেকে দিনভর অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। আলোর স্বল্পতায় এদিন কাজ বন্ধ করা হয়। পরে বুধবার ভোরে আবারও অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। ভোর ৬টার দিকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে খুলনার দাকোপ উপজেলায় ঝপঝপিয়া নদীর পানখালি ফেরিঘাটে ফেরি ও পল্টুনের মাঝে থাকা ফাঁকে পড়ে শিশু রিধী রায় শিশু নিখোঁজ হয়। জানা যায়, শিশুটি পরিবারের সঙ্গে সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণ শেষে বটিয়াঘাটায় ফিরছিলো।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ