লক্ষীখোলার নদী ভাঙ্গনে চরম ঝুঁকিতে এলাকাবাসী,সকলকে এগিয়ে আসার দাবি

ডেস্ক রিপোর্টঃলক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা নামক স্লুইস গেটসহ ওয়াপবদার রাস্তা ভাঙ্গে নদীর গর্ভে। দাকোপ উপজেলার ১নং পানখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা নামক স্থানে ওয়াপাবদা রাস্তা ভাঙ্গনে চরম আতংকে এলাকা বাসি। যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে এলাকা। সরজমিন উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীখোলার পিচের মাথা নামক রাস্তা একদমই নেই ও স্লুইস গেটসহ ওয়াপবদা রাস্তা ভাঙ্গে নিয়ে গেছে নদীর গর্ভে। পুরো ওয়াপবদা হারিয়ে গেছে এলাকার সৌন্দর্য! নেই রবিবারের সেই সাপ্তাহিক হাট বাজার। এখন চরম হতাশায় রয়েছে এলাকা বাসি। অনেকে বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্রে ছেড়ে চলে গেছে। বিশেষ করে চরম ঝুঁকিতে প্রথম কাতারে থাকা যে সবএলাকা,জিরবুনিয়া,চান্নীচক,খাটাইল,মৌখালী,কাটাবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া,পানখালী মধ্যে পাড়া। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন তিলডাঙ্গার কিছু এলাকা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।গত কয়েক মাস ধরে ভাঙ্গন বড় আকারে প্রভাব নিলেও হয়নি তেমন কোন উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ ভাঙ্গনে পানখালী ইউনিয়নের বড় ধারনের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। অনেকে বার আমান মৌসুমের নতুন ধান গোলায় উঠিয়েছেন। পাশাপাশি গরমের ধানের জন্য চাষীদের প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়া তরমুজ মৌসুমের চাষীরা চরম হতাশায় চিন্তায় পড়েছে। ভাঙ্গনের আতঙ্ক দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকে তাদের গবাদি পশু অন্যত্রে সরানোর পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় এলাকা বাসি জানান, মেম্বার চেয়ারম্যানেরা ভাঙ্গন দেখতে আসে। আর দেখে তারা চলে যায়। পরে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। এলাকা বাসি আরো জানান, এখন খুব জরুরী ভাবে সরকারি বড় ধারনের বাজেট নিয়ে কাজ করলে হয়তো,ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হতে পারে। এ বিষয় ১নং পানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ বলেন,আজ সকাল থেকে ভাঙ্গন রোধে কাজ চলছে,আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী ও এলাকা বাসির সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। আমি আসা করি ভাঙ্গরোধ সম্ভব না হলেও কিছুটা ঠেক হবে।তিনি আরো বলেন আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যতন কতৃপক্ষ এসে দেখে গেছেন। দ্রুত বড় ধারণের কাজ শুরু হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ