রামপালে সরকারি ৩ খালে মাছ চাষ অভিযোগ করেও মিলছেনা প্রতিকার
হারুন শেখ
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেল সচল রাখতে ৮৩ টি খাল খনন করা হয়। খননকৃত খালের মধ্যে তিনটি বড় সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না। স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যসহ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত অভিযোগ করেও আইনানুগ প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন গ্রামবাসী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাইসেলীয় তারা বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল সচলে সংলগ্ন মৃতপ্রায় প্রবাহমান সরকারি খালগুলি খনন করে বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও পেড়িখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনিস মাঝি ও তার লোকজন দখলে নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে। এ নিয়ে সচেতন গ্রামবাসীর সাথে দখলকারীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারা বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেল সচল রাখার স্বার্থে খালগুলি উম্মুক্ত রাখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিস মাঝির সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালগুলো দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয় যাতে বাড়ি ঘর ডুবে না যায়। তবে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে মাছ চাষ করেন বলে স্বীকার করেন ওই করেন তিনি।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওখানে তহশিলদার পাঠানো হয়েছিল। খালগুলির উপরে পূর্বে থেকেই বাঁধ ও রাস্তা করা হয়েছে। বিকল্প ব্যাবস্থা না করে খাল উম্মুক্ত করা যাচ্ছে না। সরকারি খাস খাল দখল করে কাউকে মৎস্য চাষ করতে দেয়া হবে না। প্রবহমান নদী ও খাল দখলকারীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না নিশ্চিত করেন ওই কার্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ওই খাল দখল নিয়ে গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারী দৈনিক লোকসমাজ, সময় টিভি সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু দখলবাজেরা আবারো দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছে।