নিজস্ব প্রতিনিধি:-হারুন শেখ।।

বাগেরহাট রামপালে জমির মধ্যে খাল রয়েছে এমন অভিযোগে জোরপূর্বক অসহায় এক কৃষকের ফসলী জমিতে প্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে খাল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী কৃষক ইসমাইলের মৎস্য ঘের থেকে চাষকৃত মাছ বের হয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে খুলনা সিটি মেয়র বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত মফেল শেখের ছেলে মো. ইসমাইল শেখ দীর্ঘ দিনধরে নিজ জমিতে সৎস ঘের করে আসছেন। ওই জমির মধ্যে একটি সরকারি রেকর্ডীয় খাল ছিল। অনেক পূর্ব থেকেই খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। একই গ্রামের মৃত রশিদ শেখের ছেলে প্রতিপক্ষ আসাদ শেখ জোরপূর্বক অবৈধভাবে খাল কাটার নামে কৃষক ইসমাইলের জমির উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খাল খনন করেন। এতে ওই কৃষকের ৩ লক্ষ টাকার মাছ বের হয়ে যায়। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন। খুলনা সিটি মেয়র রামপাল থানার অফিসার কে বিষয়টি জোর তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসাদ শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি খাল আমি কেটে দিয়েছি। প্রশ্ন করা হয় আপনি মাপজোক না করে অন্যের জমির মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করে জোরপূর্বক খাল কাটলেন কি করে? তখন তিনি জানান, রামপাল ইউএনও অফিসে কথা বলে খাল ঘুরিয়ে কেটেছি। তিনি নিজেই এসএ ও বিআরএস এর সরকারি খাস খতিয়ানের দাকোপা নামক খালের প্রায় পৌনে ২ একরেরও বেশী খাল দখল করে মৎস্য চাষ করছেন। সেখান থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ ও তিনি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের দৃষ্টি আকর্শন করা হলে তিনি তদন্ত করে অইনগত ব্যাবস্থা নিবেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের বাপা’র সদস্য মোল্লা আ. সবুর রানা বলেন, পরিবেশ প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারি রেকর্ডীয় খাল উম্মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার জোর দৃষ্টি আকর্শন করেছেন ওই নেতা।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ