যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার তিন আসামি আটক

ডেস্ক রিপোর্ট।।

 

গত ৩০/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে বোরকা পরিহিত ৩ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ঘটনা পরবর্তীতে তাৎক্ষনিকভাবে মাননীয় পুলিশ সুপার, কুমিল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসামীদের সনাক্তকরন সহ দ্রুত গ্রে*ফ*তারের জন্য দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা এবং দাউদকান্দি থানা পুলিশসহ অন্যান্য ইউনিট উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সকল সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক বোরকা পড়া ০৩ জনকে সনাক্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করা হয়। আসামীদের ঘটনাস্থলে প্রবেশ ও বাহিরের রাস্তা সনাক্ত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ সহ সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ০৬/০৫/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাতে ঘটনায় জড়িত ০৩ বোরকা পরিধানকারী আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের ঘটনাস্থলে যাবার আগে ও পালিয়ে যাবার সময় ব্যবহৃত একটি কালো হাইস গাড়ীর চালক আসামী মোঃ সুমন হোসেন (২৭) কে নারায়নগঞ্জ মদনপুর হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে আসামী ড্রাইভার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তার প্রদত্ত তথ্যমতে ঘটনায় ব্যবহৃত আসামীর চালিত কালো হাইস গাড়ীটি গৌরিপুর হাট চান্দিনাস্থ তার ভাড়া বাসার পাশে খালি জায়গা হতে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এছাড়াও আসামী ড্রাইভার সুমনের বাসা হতে তল্লাশী করে এবং তার দেখানো মতে ঘটনার সময় বোরকা পরিহিত আসামীদের ব্যবহৃত ০২ জোড়া ক্যানভাস সু এবং ঘটনার সময় সুমনের পরিহিত একটি ট্রাউজার উদ্ধার করা হয়। অপর গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহপরান (৩৪) এবং মোঃ রবি(৩৩)কে ডিএমপি ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ শাহপরান (৩৪) ঘটনার সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে ঘটনাস্থলে থাকা আসামীদের সাথে ঘটনার আগে ও পরে যোগাযোগ করে। তাদেরকে আত্ম-গোপনে থাকার বিষয়ে পরিকল্পনা ও সার্বিক সহযোগিতা করে। আ*সামী শাহ পরান আলোচ্য মামলার ৮নং এজাহার নামীয় আসামী অলি হাসানের ভায়রা ভাই হয়। তার সহযোগিতায় আসামীরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আত্ম-গোপনে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রবি(৩৩) এজাহারনামীয় ০৯নং আসামী কালা মনির এর ভাই। সে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে আশেপাশে অবস্থান করে শুটারদেরকে তথ্য দেওয়া ও পালাতে সাহায্য করে শাহ পরান এর সহযোগিতায় অন্যান্য আসামীদের সাথে আসা-মী রবিও (৩৩) ঢাকায় গিয়ে আত্ম-গোপনে থাকে। আসামী রবিকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের পলায়নের পথ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে গৌরিপুর পশ্চিম বাজারছ জনৈক হাবিবুর রহমানের বিল্ডিংয়ের পাশে আম গাছের নীচ থেকে আ*সামীদের পরিহিত একটি কালো বোরকা ও হিজাব উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশ কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ০৩ জন যথাক্রমে ১। মোঃ রবি (৩৩), পিতা- মৃত কালু মিয়া, মাতা-নিহারা বেগম, গ্রাম- জিয়ারকান্দি, থানা-তিতাস, জেলা-কুমিল্লা, ২। মোঃ শাহ পরান (৩৪), পিতা- মৃত আসাদ মিয়া, মাতা-শিরিয়া বেগম, গ্রাম- জিয়ারকান্দি, থানা-তিতাস, জেলা-কুমিল্লা, ৩। সুমন হোসেন (২৭), পিতা-সামছুল হক, মাতা- রিনা বেগম, গ্রাম-লালপুর (পূর্ব পাড়া) পোঃ-মজিদপুর, থানা-তিতাস, জেলা-কুমিল্লা এবং র‍্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ০৩ জন যথাক্রমে ৪। মোঃ ইসমাইল (৩৬), পিতা- খুরশিদ মিয়া, মাতা-আজমির বেগম, গ্রাম-জিয়ারকান্দি, থানা-তিতাস, জেলা-কুমিল্লা, ৫। মোঃ শাহীনুল ইসলাম @ সোহেল শিকদার (৪০), পিতা-মোঃ আক্তার হোসেন শিকদার, মাতা-নুরুন্নাহার, গ্রাম-মনাইরকান্দি, থানা- তিতাস, জেলা-কুমিল্লা, ৬। শাহ আলম @ পা কাটা আলম (৩৬), পিতা- মৃত বজলুর রহমান, মাতা-হোসনেয়ারা বেগম, গ্রাম-গোপচর, থানা-দাউদকান্দি মডেল, জেলা-কুমিল্লা সহ মোট ০৬ জন গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আসামীদের ব্যাপক পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে ০৭ (সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে রবি ও শাহ পরানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি করে মামলা বিচারাধীন আছে।
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ