আলহামদুলিল্লাহ //মানবিক পুলিশিং এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো:গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ

মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম //খুলনা //আজকে দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে জনৈক আলম শেখ (৬৭) নামের একজন ব্যক্তি গোপালগঞ্জে লঞ্চঘাট এলাকায় ৪/৫ বছরের একটি ছেলে শিশুকে পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসেন।অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে থানার নারী অফিসার সহ অন্যান্য অফিসারগণ উক্ত শিশুটিকে সেবা- শুশ্রূষা সহ মাতৃত্ব সুলভ আচরণ দিয়ে আপন করে নিয়ে গোপালগঞ্জ থানার ফেসবুক পেইজে উক্ত শিশুটিকে প্রাপ্তির বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়।এর কিছু সময় পরে স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে ফেসবুক পোস্ট দেখে উক্ত শিশুটির মা মানসুরা বেগস(২৫), পিতা-দুলু শেখ, মাতা-রাজিয়া বেগম, সাং-আস্তাইল, থানা-মোল্লারহাট, জেলা-বাগেরহাট, বর্তমান সাং-ঘোষেরচর জনৈক মধুমিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, গোপালগঞ্জ।শিশুটির মা মানসুরা বেগম পাগলের মতো গোপালগঞ্জ সদর থানায় ছুটে আসেন।থানায় এসে মা তাঁর সন্তানকে কাছে পেয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কান্না করতে থাকেন।মা যেন আকাশের চাঁদ ফিরে পেয়েছেন। তখন থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ যেন মা-সন্তানের এক মিলনক্ষণ। এমন আবেগঘন আনন্দ দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখলে হৃদয়ঙ্গম করা অসম্ভব।সন্তান নিজ জিম্মায় বুঝে পেয়ে থানা থেকে যাওয়ার সময় শিশুটির মা পুলিশের জন্য প্রাণভরে দোয়া করতে থাকেন। উল্লেখ্য উক্ত শিশুটি তার নিজের নাম পর্যন্ত বলতে পারছিল না। পরবর্তীতে তার মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, শিশুটির নাম- মো: আরাফাত, বয়স- ০৫ বছর।পুলিশের সাথে থাকুন, পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা নিন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ