ভ্যানচালক ঠাকুর দাস মানে না আইন, নেই মানবিক দৃষ্টি, জরিমানার টাকা না দিয়ে তালবাহানা!!

****মোকলেছুর রহমান ****

দাকোপের খোনা গ্রামে আরশাদ আলী গাজী দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। নেয়নি খোঁজ ঠাকুর দাস।

গত ইং ১৪ জুন রোজ বুধবার মোঃ আরশাদ আলী গাজী,পিং মৃত্যু ছলিম গাজী,সাং খোনা, দাকোপ, খুলনা।

চালনা মেহেদী হাসান এতিমখানার একটু সামনে। ভাড়া মোটরসাইকেল যোগে চালনা থেকে নিজ বাড়ি খোনা ফিরার পথে ঠাকুর দাস নামের এক ভ্যানচাকল অসাবধানতায় আরশাদের পায়ে সজোরে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

পরে আরশাদ আলীকে স্থানীয় লোক জন উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরী বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে, উক্ত চিকিৎসক খুলনা প্রেরন করেন।

জানা যায়, এরশাদ আলীর পায়ে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং হাঠু ভেঙ্গে যায়।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
গত কয়েক দিন আগে খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার হাঠুর অপরেশন করা হয়েছে।

আরশাদ আলীর আপন ভাই জমির গাজী বলেন,তখন জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন না করলে বড় ধারণের সমস্যা হওয়ার সম্ভব না ছিলো।

তিনি আরো বলেন, এখন বর্তমান আমার ভাইয়ের অবস্থা খুবই দুঃখ জনক। তার পরিবারে কেটে খাওয়ার মত কেহ নাই। তার আয় রোজগারে সংসার চলতো। এখন ওষুধ তো দুরে থাক, তার খাবার নিয়ে বড় চিন্তা। না খেয়ে দিন যাচ্ছে তার।

জমির গাজী আরো বলেন, আমরা মানুষ,আমাদের ভুল থাকবেই। ইচ্ছা করে কেহ দুর্ঘটনা করে না। সবই কপাল।

কিন্তু, এখানে একটায় প্রশ্ন আমার, একটি মানুষকে আঘাতে করে,আর খোজ খবর না নেওয়া,সে মরলো কি বাচলো দেখার খবর না নিয়ে নিরব থাকাটা কতটুকু মানবিক দৃষ্টি পায়।

এ ঘটনায় ভ্যানচালক সমিতির সভাপতির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জি আমরা শুনেছি, আমার সদস্যের চরম অপরাধ হয়েছে। সে একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে খবর নেয়নি। এটা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা।

আমরা রোগীর পরিবার ও ভ্যানচালকের পরিবারের সুদৃষ্টি রেখে সাধারণত মিমাংসা করে দিয়েছি।

গত ১৮ জুন ভ্যানচালক ঠাকুর দাসসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতে সকলের মতামতের উপর আলোচনা করে, ঠাকুর দাসকে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সভাপতি আরো বলেন, আরশাদ আলী গাজীর ছেলে ও তার আপন ভাই আমাদেরকে জানিয়েছেন,এ পর্যন্ত এক লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ করেছেন। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন লোকের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে টাকা জোগাড় করে অপারেশন করেছেন।

উক্ত দুর্ঘটনার ব্যাপারে ভ্যানচালক ঠাকুর দাস বলেন, আগামি কাল আমার জরিমানার টাকা দেওয়ার তারিখ ছিল। আমার মেয়ে এসে বলেছেন, আমি বিষয়টি দেখছি।

এ ব্যাপারের ঠাকুর দাসের মেয়ে বলেন, এতো টাকা জরিমানা একজন ভ্যানচালকে হয় কিভাবে? দেখা যাক কি হয়!

এমন পরিস্থিতিতে রোগীর খোঁজ খবর না নিয়ে।তার ভালো মন্দ মানবিক বিবেচনা না করে উল্টোপাল্টা হুমকি প্রদর্শন করে চলেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি মানবিক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।যাহাতে আরশাদ আলীর পরিবার সঠিক বিচার পান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ