ভোলায় জাল জালিয়াতি করে জমি দখলের পায়তারা।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালিয়া কান্দি এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে মধ্য ধনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালামের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী একটি মহল এ দখলদারকে সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জমির মালিক মোঃ লোকমান জমিটি দখলমুক্ত করতে ভোলা সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করছে ( মামলা-২০৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার অন্তর্গত ৩০ নং তৌজি ভুক্ত জে, এল নং ৫১, মৌজা ধনিয়া মধ্যে এস,এ ৮৬২ খতিয়ানে জমি মোয়াজি ৪.৪১ একর, দাগ নং ২২৬,৯৫,২৬৬,২৯৬,৩১৫,৩১৬,৩২০,৩২১,৩২২,৩২৬,৩৮৫,৩৮৬,৪২১,৪৩১,৪৩২,৪৩৬,৪৩৯,৪৪১,৩০৬,১৪৬৪,১৬৪৮ /৮১ উক্ত ভূমিতে রেকর্ড সূত্রে মালিক মো.এছাহাক গংরা। এছাহাক হাওলাদার এস, এ ৮৬২ নং খতিয়ানের ২.৩৯ একর ভূমি থেকে বিগত ২ জানুয়ারি ২০০১ সালে ৬৮ নং দলিলের এস. এ- ৮৬২ নং খতিয়ানের ভূমি ৪৬ শতাংশ ভূমি মো. আবুল কালাম, মো. ফরহাদ হোসেন রকি ও বশির আহাম্মদের কাছে বিক্রি করে।যার ছাপ কয়লা মূল্য ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও দক্ষিণ চরপাতার এস এ খতিয়ান নং ৩১০ যার দাগ নং ১৭০২ যাহার ডিপি ৯৮ নং খতিয়ানের হাল ৭৩৮৮, ৭৩৮৭,৭৩৮৯,৭৩৮১ দাগে অন্তর্ভুক্ত। ছাপ কওলা মূল্যে আবুল বাশার পিতা মৃত আজিজুল হক হাং মো. আবুল কালামের নিটক ৫২ শতাংশ ও সুফিয়া খাতুনের নিকট ৬৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার পরিমাণ ১.২০ একর।উক্ত ১.২০ একর জমির দলিল কে জাল জালিয়াতি করিয়া ৫২ শতাংশের স্তলে ৭৪ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ স্তলে ৮৮ শতাংশ করিয়া একটি ভুয়া জমির দলিল তৈরি করেন। জমির প্রকৃত মালিক উক্ত বুঝিয়া পেতে ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করছে ( মামলা সি আর -১১১/২০২২)। অভিযুক্ত মো. আবুল কালাম মাষ্টার বিক্রিত ৪৬ শতাংশ জমিনের দলিলকে জাল-জালিয়াতি ৭৬ শতাংশ জমিনের দলিল তৈরি করে। উক্ত জমিনের ওয়ারিশগনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজের নামে নামজারি করে। যা ছাড়াও অভিযুক্ত আবুল কালাম ২০১৯ সালে তক্ষাকালীন স্থানীয় ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একটি ওয়ারিশ সাটিফিকেটে তৈরী করে।
স্থানীয়রা জানান, মো. আবুল কালাম গংরা দুষ্ট, দুর্দান্ত, দুষ্কৃতকারী, ভূমি লোভী, জাল জালিয়াতি অসৎ প্রকৃতির লোক। তাদের কাজেই জাল জালিয়াতি করে মানুষের জমি দখল করা। এছাড়াও অসহায় বিধবা মহিলাদের কাছ থেকে ধোকাবাঁজি করে অর্থ করে। যারা একাধিক প্রমাণ এখনো বিধমান।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত মো. আবুল কালাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।