কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি এম এম তৈয়্যবুর রহমান

খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভবন আছে কিন্তু কার্যক্রম নেই। ভুমি সেবা জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার বাগালী ইউনিয়নে ভুমি অফিস নির্মাণ করে। ভবনটির কাজ শেষ হলেও আজ পর্যন্ত অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। ভবনটি তালাবদ্ধ রয়েছে। কোনো কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ইউনিয়নের মানুষ ভুমি সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

জানা গেছে, বাগালী ও আমাদী ইউনিয়নের ভুমি মালিকদের আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত অফিসে গিয়ে সেবা নিতে হয়। সেখানে বাগালী ইউনিয়নের ভুমি মালিকদের সেবা নিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সে জন্য বাগালী ইউনিয়নের জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে এবং ইউনিয়নবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের একটি ভবন নির্মাণ করে। কিন্তু জনবল নিয়োগ না থাকায় আজ পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে মেসার্স শহিদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাগালী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে এক প্যাকেজে দুটি ভবনের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, ভবন নির্মাণ হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে জনগণের যে সমস্যা সে সমস্যা রয়েই গেছে।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) বি এম তারিক উজ জামান বলেন, বাগালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভবন নির্মাণের কাজ শেষে ঠিকাদার ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তার নিকট ভবনটি হস্তান্তর করেছে। জনবল নিয়োগ না থাকায় কার্যক্রম শুরু হয়নি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা বলেন, বাগালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় এলাকার মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে কার্যক্রম শুরু হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ