পানখালী বরণপাড়া ফেরি ঘাট পল্টন থেকে পড়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ মেলিনি
ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পরও হৃদি রায় (৭) নামের শিশুকে খোঁজ হয়নি।তবে উদ্ধার করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল।নিখোঁজ শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সুন্দরবনের করমজল ইকো-ট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে ফেরি ও পন্টুনের ফাঁক দিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝপঝপিয়া নদীতে হঠাৎ পড়ে যায় শিশুটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, করমজল থেকে রাতে ট্রলারযোগে পরিবারের সঙ্গে ফিরছিল শিশুটি। বৃষ্টি থাকায় ট্রলার থেকে ফেরিঘাটে নেমে ফেরির ওপর দিয়ে অসাবধানতায় অন্ধকারে দৌড়ে উপরে উঠার সময় ও ফেরির ফাঁকা স্থান দিয়ে নদীতে পড়ে যায়। উপস্থিত লোকজন শিশুটিকে পড়ে যেতে না দেখলেও তার দৌড়ে যাওয়া ও পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পায়। শিশুটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠেছে পানখালী ফেরিঘাট এলাকা।দাকোপ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাসার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তবে রাত দুটা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে খরস্রোত থাকায় ডুবুরিদলের উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটায় রাতে বন্ধ রাখা হয়। আবার সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।তিনি আরও জানান, নদীতে জোয়ার থাকায় শিশুটির এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরে স্থানীয় প্রশাসন, তাছাড়া সকল রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস খুলনার ডুবুরি দল ও দাকোপ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাকবিলত এলাকাসহ সম্ভাব্য সব স্থানে শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।