ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ৬ষ্ঠ ধাপে দেশের সকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্য চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত কাল (৫ জুন) বুধবার। নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় পরিষদ নির্বাচন র্অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য খুলনা জেলার মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোন প্রকার সংহিতা ছাড়া শান্তি পূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে মঙ্গল বার ৪ জুন সকাল ১০ টায় দাকোপ উপজেলা ময়দানে নির্বাচনীয় ব্রিফিং শেষে রিটানিং অফিসারের মাধ্যমে প্রাইজিটিং অফিসার স্ব স্ব দায়িত্ব গ্রহন করেন ও মালামাল বুঝে নেন। এবং মোট ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মালামাল পৌছায়। পরের দিন (৫ জুন) বুধবার সকাল ৮ টা হইতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলে। দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্য আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩৬৬২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৮২১১ ভোট পেয়েছেন। শেখ যুবরাজ সাহেব আনারস প্রতীক নিয়ে ১৫২১১ এবং অচিন্ত কুমার মন্ডল দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৬৫৪৯ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন,এর মধ্য কিশোর কুমার রায় মাইক প্রতীক নিয়ে ২৪৫৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ জাহিদুর রহমান (মিল্টন) শেখ বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে ২৩৬৬১ ভোট পেয়েছেন। তাপস জোয়ার্দার চশমা প্রতীক নিয়ে ৫৪৫৮, দেবপ্রসাদ বৈদ্য টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪১৫২, দেবাশীষ রায় বই প্রতীক নিয়ে ৭১৬৩, মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্ল্যা টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে ৭৮৯৩ এবং সুনীল রায় তালা প্রতীক নিয়ে ২৮৩১ ভোট পেয়েছেন।তাছাড়া মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।ফাতেমা আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ২৫২৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিথীকা লতা রায় ২৪২০৪ ভোট পেয়েছেন। জয়ন্তী রানী সরদার পদ্মফুল পতীক নিয়ে ৮৮৭৬, মলিনা জোদ্দার কলস প্রতীক নিয়ে ১১৫৯৭ এবং এ্যাডঃ সুভদ্র সরকার হাঁস প্রতীক নিয়ে ৫১৩১ ভোট পেয়েছেন। এর আগে সারা দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ভুমিকায় মাঠে কাজ করতে দেখা যায়, এর মধ্য পুলিশ, আনসার প্রতি রক্ষা বাহিনী,র‍্যাব, কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।পাশাপাশি টহলে ছিলেন বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ