দাকোপে শিশু বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে মারধর হাসপাতালে ১


ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার মধ্য দাকোপে প্রতিপক্ষের হাতে মারাত্নক আঘাতে চিকিৎসাধীন নিত্যানন্দ মন্ডল। জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার দাকোপ উপজেলার ২নং দাকোপ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য দাকোপ গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ মন্ডলের ছোট শিশু বাচ্চা ও একই এলাকার প্রতিবেশী রাহুলের রায়ের শিশু বাচ্চার সাথে খেলাধূলা কেন্দ্রীক ঝগড়া বিবাদসহ কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। তখন ওই সময় স্থানীয় ভাবে শান্ত হয়। পরে ওই দিন সেই রাগে ও ক্ষোভে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় নিত্যানন্দ মন্ডলের বাড়ির সামনে শিশু বাচ্চার (ঠাকুর দাদু)সত্যজিৎ রায় (৪৭) উপস্থিত হয়। নিত্যানন্দ মন্ডলকে উদ্দেশ্য করে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে।তখন নিত্যানন্দ মন্ডল ও তার স্ত্রী শিবানী মন্ডল গালিগালাজের করার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে। নিত্যানন্দ রায় ও ৩ থেকে ৪ জনের পূর্ব পরিকল্পিত সঙ্গবদ্ধ দল চরম ভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। নিত্যানন্দ মন্ডলের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে বুকে পিটে বেদড়ক মারপিট ও আঘাত করে। তাছাড়া পায়ের জুতা দিয়ে মুখে পিটে চরম ভাবে আঘাত করে। ওই সময় শিবানী স্বামীর আত্নচিৎকারে বাঁচাতে ছুটে গেলে, চুলের মুটি ধরিয়া তলপেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অস্পষ্টকতা স্থানে হাত দেওয়াসহ শ্লীলতাহানি করে। শিবানী আরো বলেন, কাছে থাকা স্বর্ণের ১২ আনা চেইন টানাহেঁচড়ার এক পর্যায়ে ছিনিয়ে নেয়। আমরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমি স্বামীকে নিয়ে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছায়। শিবানী মন্ডল জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করলেও স্বামী নিত্যানন্দ মন্ডলের অবস্থা আশংকাজনক থাকায় জরুরী ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। নিত্যানন্দ মন্ডল দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় খবর নিয়ে আরো জানা যায়, সত্যজিৎ রায়ের নামে পূর্বেও গ্রাম পুলিশকে মারধর করাসহ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। শিবানী মন্ডলের এমন ভাষ্য ও বক্তব্যের বিবরণে নিজে বাদী হয়ে দাকোপ থানা বরাবর একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। উপরোক্ত ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে সত্যজিৎ মন্ডল বলেন,তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি, আমার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তাছাড়া আমি খবর পেয়েছি তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি সকল শ্রেণীপেশার মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং সেই সাথে
দাকোপের প্রশাসনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানান।