ডেস্ক রিপোর্টঃ দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁকড়া বুনিয়া গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর প্রভাবশালী মহলের হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করাসহ প্রানে নাশের হুমকি। পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ১১ অক্টোবর শুক্রবার ভোর আনুমানিক ৬ টার দিকে কাঁকড়া বুনিয়া গ্রামের গরীব অসহায় আক্তার শেখের পুত্র বাক প্রতিবন্ধী যুবক শাহাজান শেখ (টুলু) (২৪) ও বৃদ্ধ স্ত্রী জামিলা বেগম (৫৫) কে বেদম মারধর করে ওই এলাকার প্রভাবশালী মহলের মোঃ মাসুম শেখসহ আরো ৪-৫ জনের সঙ্ঘবদ্ধ দল। এ ঘটনায় ওই দিন বাক প্রতিবন্ধী যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে দাকোপ থানা বরাবর একখানা এজাহার দায়ের করেন।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, বাক প্রতিবন্ধী যুবক শাহাজাহান শেখ (টুলু) মায়ের কাছে টাকা ও ঘর নির্মানের দাবি জানায় ও কান্না কাটি করে। ওই সময়ে প্রতিবেশী মাসুম শেখ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ওই সময় বাক প্রতিবন্ধী যুবকের এমন আচার-আচরণ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বেদম মারপিট করে। প্রথমে বাড়িতে মারধর ও পরে মধ্যে যুগীয় কাদায় নির্যাতন করে,প্লিম স্টাইলে পশুর ন্যায় ভ্যান গাড়িতে রশি দিয়ে বেঁধে চালনা বাজার অভিমুখে নরকিয়ো নাটকের সাদু সাজাতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কৌশাল অবলম্বন করেন। ওই ভ্যান গাড়িতে নিয়ে আসলে উপস্থিত লোকজনের সমালোচনার তোপের মুখে পড়েন। এবং ওই সময়ে উপস্থিত লোকজন বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। দেশে আইন আছে কেন আপনার এমন করলেন, এমনটা ঠিক হয়নি। এমন কথা শুনে বিবাদীগন বাক প্রতিবন্ধী যুবকে ফেলে রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। মহূর্তের মধ্যে শত উক্ত স্থানে শত শত লোকের জমায়েত হয়।তার এক ঘন্টা পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন,বাক প্রতিবন্ধী যুবকের আপন বড় ভাই আল আমিন। এর আগে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে বৃদ্ধ মাতা জামিলা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে গেল তাকেও বাশের লাঠিও নৌকার বৈটা দিয়ে মাঝায় ও পিটে আঘাত করে। সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে বাড়িতে পড়ে থাকে,পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বৃদ্ধ মাতা হাসপাতালে আনা হয়। এদিকে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় আল আমিন শেখ, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি অবস্থায় উদ্ধার করে বাক প্রতিবন্ধী ভাইকে মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ভর্তি করে। আল আমিন শেখ নিরুপায় হয়ে হাসপাতালের সামনে কাঁদতে থাকে।ওই সময় গণমাধ্যম কর্মীরা কারণ জানতে চাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং ঘটনার বিবরণে আইনীয় সহযোগিতার কামনা করেন। পরে ওই দিন অর্থাৎ ১১ অক্টোবর আল আমিন আইনের আশ্রায় গ্রহন করেন। ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক দাকোপ থানা বরাবর এক খানা এজহার দায়ের করেন। এজাহারে উপর ভিত্তি করে গত ইং ১৩ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা দাকোপ থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বাক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে অবস্থান করে। এবং ওই সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা এএস আই আঃ সাত্তার (নিঃ) সহ সঙ্গীয় ফোর্স সরজমিনে তদন্ত করে মারধরের সরঞ্জাম বাঁশের লাঠি,সোঠা, নৌকার বৈটাসহ ঘটনার সাক্ষীদের কাছ থেকে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ঘটনার বিষয় সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে সত্যতা নিশ্চিত প্রমাণিত হয়। এবং দাকোপ থানা পুলিশ বিষয়টি জরুরি ভাবে গ্রহণ করেন।বিবাদী মাসুম শেখের পরিবার পুলিশ তদন্ত করে ফিরে যাওয়ার পরে অকথ্য গালিগালাজসহ ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। বিবাদীর পরিবার মামলা রুজু হলে পরিবারের সবগুলোকে জীবিত মাটিতে ফুতে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। এছাড়া বাক প্রতিবন্ধী পরিবার জানান, মামলা করার কারণে আমাদের উপর হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে মাসুম শেখের পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার আরো জানায়,
অভিযোগের বিষয় বিবাদী পক্ষ জানার পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কাছে গিয়ে মামলা বন্ধ করার চেষ্টা করার চেষ্টায় রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী যুবকের বড় ভাই যে দিন মামলা করপ ,পরের দিন অর্থাৎ ১২ অক্টোবর বাড়ির পোষা ৮টি মুরগীকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে এমন অভিযোগও করেন। আল আমিন আলোর খবরকে জানান, আমার পরিবারটি নিরাপদে নয়। সব মিলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় আমার পরিবারের উপর বড় ধারনের ক্ষতি হতে পারে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ