ডেস্ক রিপোর্টঃ পুরাতন মালামালের ব্যবসায়ীদের উপর বিশেষ নজরদারীতে দাকোপে চোরাই তামা লোহাসহ গাড়ি আটক হলেও থেমে নেই চোরাই মালামালের ক্রয়- বিক্রয়ের চক্রের সদস্যদের গতি।খুলনার দাকোপ উপজেলার পুরাতন মালামালের ব্যবসার আড়ালে কিছুতেই থামছে না অবৈধ চোরাইকৃত তামা লোহা ক্রয়-বিক্রয়ের সিন্ডিকেট।গোপন জানা গেছে,রাতের আঁধারে প্রতিনিয়ত চালনা মেরিন কোং লিঃ এর সামনে ও এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনের পশর নদীর চরে পরিত্যক্ত জায়গা ইট বালির গোলার সামনের নদীর চরে। এছাড়া গোপনে আরো জানা গেছে, গভীর রাতে ট্রোলার যোগে চোরাই তামা ও লোহা এনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চক্রের সদস্যরা ক্রয়-বিক্রয় করে চলেছে।এছাড়া আবার চোরাই মালামাল প্রশাসনের নজরে যাতে না পড়ে,কৌশলে সতর্ক থেকে সুযোগ বুঝে ট্র্যাকে না নিয়ে,মাছের ট্রোলারে খুলনার উদ্দেশ্য নেওয়ার খবর শোনা গেছে।এছাড়া খুলনা থেকে চোর চক্রের সদস্যরা মাঝে মাঝে চালনা পুরাতন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে কৌশলে গোপনে বাসে করে চোরাইকৃত তামা লোহা ও ব্যাটারী নেওয়ার খবরও শোনা যাচ্ছে। এ বিষয় দাকোপ উপজেলার প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলোর খবরকে বলেন,প্রায় এক সপ্তাহ আগে গাড়িসহ পানখালী ফেরিঘাট অভিমুখে খুলনা যাওয়ার পথে যৌথ অভিযানে চোর চক্রের সদস্যসহ চোরাই মালামাল আটক হয়। আটককৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চালনার অনেকের নাম ও জড়িত থাকার বিষয় জানিয়েছ।তিনি বলেন, আমিও শুনেছি চোর চক্রের সদস্যরা ডাঙ্গা পথ বন্ধ করে দিয়ে,এখন তারা কৌশলে নদী পথে যাতায়াত করেছে।আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয় দেশের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে।ওই সময় সিন্ডিকেটের সকল সদস্যরা সরকার পরিবর্তনের বিষয় মাথায় রেখে পুরো সিন্ডিকেট কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখে।পরবর্তীতে দাকোপের চোরাইকৃত তেলের অসাধু চক্রটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সাথে তাল মিলিয়ে কিছু অসাদু লোকের সাথে যোগাযোগ করে কমিশনের মাধ্যমে তেল চুরি আবারও রমরমা শুরু হয়েছে।গোপন জানা যায়,অভিযোগে এ দুটি চক্র স্থানীয় থানা পুলিশ, অন্যান্য সদস্যদের ও নিরাপত্তাকর্মীদের ‘ম্যানেজ’ করে বহিনোঙরে থাকা বিদেশি জাহাজ থেকে তেল চুরি করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, জব্দ করে চোরাই তেল। এতে দু একদিন চুরি বন্ধ বা কমলেও আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। চলতে থাকে তেল চুরি। তেল চোরাইয়ের চক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে তুলসির ঘাট,নলোপাড়া খেওয়া ঘাট, আবুল হোসেন এতিম খানা সংলগ্ন নদীর চর, এ ছাড়া গভীর রাতে নদীর মধ্য নৌকা যোগে জাহাজের কাছে গিয়ে ডিজেল নিয়ে চরে ফেরে। সব মিলে প্রশাসনের দৃষ্টি আরো বাড়িয়ে কঠোরভাবে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ এলাকাবাসির।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ