দাকোপে জ্যোতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে জোরপূর্বক জমি দখলে
ডেস্ক রিপোর্ট
দলিল যার জমি তার। জোরপূর্বক কারো জমি দখলে থাকতে পারবে না কোন ব্যক্তি।ছেড়ে দিতে হবে অবৈধ দখলী জমি।
দাকোপ উপজেলার ২নং দাকোপ ইউনিয়নের সাহেবের আবাদ গ্রামের পোদ্দারগঞ্জ ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা ঘটে চলেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় এক অশান্তি বিরাজ করছে।এমন পরিস্থিতিতে অনুসন্ধানে ও সঠিক তথ্য সংগ্রহের কাজে নামে সাংবাদিকরা।
এলাকায় সরজমিনে উপস্থিত হয়ে ও এলাকা বাসির ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায় ,পোদ্দারগঞ্জ নতুন ঘাটে বর্তমান অবস্থিত পশ্চিম পাশে ললিতা সাহা নামের মহিলা জ্যোতি হালদারের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে বসে আছে।
জানা যায়,জ্যোতি হালদারের বাবা স্বপন হালদার জীবিত থাকা অবস্থায় ললিতা সাহাকে ওই জায়গার উপর ভূমিহীন বলে অস্থায়ী ভাবে ঘর বাঁধতে ও বসবাস করতে সুযোগ দেন।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সন্জয় জোয়ার্দার সাংবাদিকদের জানান, জ্যোতি হালদার, পিং মৃত স্বপন হালদার সাহেবের আবাদ,দাকোপ খুলনা। পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক।
সাবেক ইউপি সদস্য আরো বলেন, আমি তখন রানিং মেম্বার। ললিতা তখন থাকতেন মন্দিরের আশ্রমের নদীর চরে। আমি সহ জ্যোতির বাবা মিলে ললিতা সাহাকে এই জায়গার উপর বসায়।
তাছাড়া বঙ্গবন্ধূর কন্যা দেশরত্ন গরীবের দরদী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরহার ঘর দেওয়া হলো তার নামে,নিলো না সে।
পরবর্তীতে সেই ঘর দেওয়া হলো তার আপন বোন গোলাপীকে।
ললিতা সাহাকে জ্যোতি হালদার বার বার জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও তার কথা রাখিনি।
তাছাড়া পূর্বে দাকোপ ইউনিয়নে এ নিয়ে দফায় দফায় শালিশ বসে এবং একটি অভিযোগ ও এ বিষয় চলমান।
এ বিষয়ে জ্যোতি হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে শান্তি পূর্ণ বাসবাস চাই।
জ্যোতি হালদার আরো বলেন, পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক আমি জ্যোতি। আমাদের পরিস্কার দলিল রয়েছে। এটা আমার সম্পত্তি। আমি নিজে ললিতা সাহাকে বলেছি যে,বাবা আপনাকে এখানে বসিয়ে দিয়ে গেছে।আমি চাইনা আপনি ছেড়ে চলে যান ।
আমি আপনার পাশে থাকতে চাই।জায়গা তো আমার। আপনি আমাকে ছোট্ট একটি ঘর বাঁধতে দিন। তাছাড়া আপনাকে আমি নিজ খরচে সুন্দর করে টিন দিয়ে থাকার মত ঘর বেঁধে দিবো।
ললিতা সাহা আমি ও আমার পরিবার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দিয়ে বার বার শান্তি পূর্ণ বসবাস চেয়েছি এমন প্রস্তাব দিয়েছি ।
কিন্তু ললিতা সাহা কাউকে মানে না, সে এলাকার কিছু অসাধু লোকের ইন্দ্রোনে আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। এবং সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও গনমাধ্যম কর্মী দিয়ে, মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমার মানসম্মান নষ্টে ব্যস্ত রয়েছে।
এলাকা বাসি ও জ্যোতি হালদারের পরিবার মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাছাড়া উপযুক্ত বিচারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।