দাকোপে জেলেদের চাল নিয়ে এলাকাবাসীর সঠিক তদন্তের দাবি, বেরিয়ে আসবে রাগব বোয়ালদের নাম
“দাকোপে জেলেদের চাল নিয়ে এলাকাবাসীর সঠিক তদন্তের দাবি, বেরিয়ে আসবে রাগব বোয়ালদের নাম
“”মোকলেছুর রহমান””
দাকোপে ২৩ বস্তা জেলে কার্ডের চাল নিয়ে এলাকা বাসি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ইং ৩০ই মে রোজ মঙ্গলবার মধ্যে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাকোপ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এবং ২৩ বস্তা সরকারী চাল সহ তিন জনকে আটক করেন।
আটককৃত চাল ও তিন আসামিকে দাকোপ থানায় হাজির করেন। পরবর্তীতে চাল ও তিন আসামিকে উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় দাকোপ থানা পুলিশ লিখিত নিয়ে চালসহ আসামিদের ছেড়ে দেন।
এর আগে যখন ২৩ বস্তা সরকারী জেলে কার্ডের গরীবের চাল সহ তিন জনকে দাকোপ থানা পুলিশ আটক করেন।তখন দাকোপ থানা পুলিশকে বিভিন্ন গন মাধ্যম কর্মীরা, অনলাইন, ফেসবুকে সাধুবাদ জানাতে থাকেন।
কিন্তু, এ সাধুবাদ কয়েক ঘন্টার মধ্যে হয়ে যায়, দাকোপ বাসির কাছে এক কৌতুহল। এর কয়েক ঘন্টা যেতেই সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির ছুটে যান দাকোপ থানায়।
কয়েক ঘন্টার মধ্যে জানা যায় ও চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির সাংবাদিকদের বলেন,এই ২৩ বস্তা চাউলের মালিক ওই এলাকার এক মুদি দোকানদার।
তিনি আরো বলেন, এ চালের প্রকৃত মালিককে দাকোপ থানা পুলিশ চাল ফিরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা এ বিষয় সব জানেন।
গত ইং ২ জুন সরজমিনে উপস্থিত হয়ে অনেক ইউনিয়নের ওয়ার্ড গুলো ঘুরে এলাকা বাসির সাথে কথা বলে, আরো জানা যায়,জেলে কার্ডের চাল কম দিয়ে ২৩ বস্তা জেলে কার্ডের চাল নিয়ে এই নাটক করা হচ্ছে।
চেয়ারম্যান সাহেবের ভাষ্য অনুযায়ী এলাকা বাসির প্রশ্ন,এখানে পরিষ্কার যে,সরকারী ২৩ বস্তা চালের মালিক দোকানদার জাহাঙ্গীর।
কিন্তু,এটা কত টুকু সত্য?দোকানদার সরকারি চাউল কিভাবে তার কাছে রাখেন?একজন মুদি দোকানদার হয়ে সরকারী চাল ক্রয়বিক্রয় করা তার জন্য অপরাধ কি না?
তাহলে কি জনগন বুঝবে কি? এটাই বুঝবে যে,দোকানদার জাহাঙ্গীরের চাউল ক্রয়বিক্রয়ের বৈধতা রয়েছে।
এখানে সুশীল সমাজ ও জনসাধারণের একটাই প্রশ্ন যে, ২৩ বস্তা সরকারি চাউলের এমন একটা ঘটনায় তারা নিরব ভূমিকায় কেন?
তাদের কি কোন দায়িত্ব নাই। একজন পুরো সুতারখালী ইউনিয়নের দায়িত্বে অপর জন যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেই ৫ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে।
সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির ও ৫ নং ওয়ার্ডের জাহিদ হাসান ফকির তারা এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে এই চালের ব্যাপারে কতটুকু ভূমিকা নিয়েছেন জনগন জানতে চান?
এলাকা বাসি ও বাজার কমিটি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখানে মুদি দোকানদারকে ও ট্রোলার মালিককে চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির ও জাহিদ হাসান ফকির, যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতেন, তাহলে জনগন খুশি হতেন।
এখানে এলাকা বাসির দাবি ট্রোলার মালিক ও মুদি দোকানদারকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসা করা হলে। অনেক অজানা রহস্যময় তথ্য জানা যাবে। তাছাড়া এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা কারা কারা রয়েছে, সব এক এক করে বেরিয়ে আসবে বলে এলাকা বাসির ভাষ্য।