দাকোপে গৃহবধূ আয়েশা বেগমের উপর যৌতুকের দাবি মানসিক নির্যাতন

ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপের কাটাবুনিয়ায় গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়ে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি। গত ইং ২৫ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের গৃহবধূ আয়েশা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে। আয়েশার পরিবার সুত্রে জানা যায়,আয়েশার উপর তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে এ অমানসিক নির্যাতন করে।
জানা যায়, গত ইং ২৪ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার সকালে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়েশা বেগমকে জরুরী অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আয়েশার বাবা সঠিক বিচারের দাবিতে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছে। খবর নিয়ে জানা যায়,দাকোপ উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোজাহার সরদারের পুত্র মোঃ তোবারক ইসলাম টুকুর সাথে একই উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের নলিয়ান গ্রামের শাহিদুল ইসলামের কন্যা আয়েশার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে সব সময় আয়েশার সংসারে অশান্তি আর ঝগড়াঝাটি লেগে আছে। এর ভিতর দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বার বার গ্রামে সালিশী বৈঠক করেও কোন সমাধান করতে পারিনি। আয়েশার বাবা বলেন,সর্ব শেষ গত ইং ২৪ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার তার স্বামী মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এবং আয়েশার উপর চালায় অমানসিক নির্যাতন। তার বুকে পিটে ও মাথায় চোখের কোনে সজরে আঘাত করে। এখন খুব করুন অবস্থা তার। সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আয়েশা বেগম। আয়েশা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার দু’সন্তান রয়েছে। আমি সংসার ঠিকে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করি। অনেক সময় না খেয়েও থেকেছি। কিন্তু, কাউকে বলিনি। মাঝে কয়েক মাস আগে যৌতুকের দাবিতে আমার বাপের বাড়িতে উঠায় দিয়েছিল আমার স্বামী।পরে আমাকে নিয়ে বিচার শালিস হয়েছিল। আমার বাবার বাড়িতে তিন মাস ছিলাম।পরে আমার শাশুড়ীসহ এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে আমার সুখের কথা চিন্তা করে, আবার আমাকে শশুর বাড়ি পাঠায়। তারপরও থামে না যৌতুক চাওয়া।তারা আমাকে বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করে। যৌতুকের দাবিতে গত রবিবার আমাকে অজ্ঞান করে ফেলে। আমি এখনও ঠিক মত নিঃস্বাস নিতে পারছি না। আমার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আয়েশা বেগম দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ