দাকোপে গাজী নাজমুল হাসান মানবিক কল্যাণে প্রশাসনকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন

ওলি উল্লাহঃ দাকোপ উপজেলার চালনাসহ উপজেলার হাটবাজার গুলোতে ইলিশ মাছের দাম ও কাঁচাবাজার গরীবের নাগালের বাইরে। দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভার চালনা বৌমার গাছতলা,আচাভুয়া মাছের বাজার ও কাঁচা বাজার ঘুরে ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মাছ বাজারে যথেষ্ট দেখা গেছে। তবে মাছের দাম অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ও কাঁচা বাজারের দোকানদারা জানান,খুলনা রূপসা এলাকা থেকে প্রচুর ইলিশ মাছ,ও কদমতলা এবং সোনাডাঙ্গা থেকে প্রতিদিন চালনাতে মাছ ও কাচা বাজার আসে। এ ছাড়া বর্তমান মৌসুমে উপজেলার চালনা পশুর নদী, শিবসা,মাঙ্গা, ঢাকিনদীসহ আশপাশের নদী গুলো থেকে এবার মৌসুমে জেলেরা প্রচুর ইলিশ মাছ ধরছে। কিন্তু,স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে কম দামে কিনে আমাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে। আমাদের কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে হালকা কিছু লাভে। উপজেলার সপ্তাহিক হাট গুলো যেমনঃ চালনা মেইন মাছ চালনা, আচাভুয়া, বাজুয়া,বানিশান্তা,বটবুনিয়া,নলডাঙ্গা,তিলডাঙ্গা, লক্ষ্ণীখোলা পিচের মাথা,মশামারি,পানখালী, কৈলাশগন্জ বুড়িরডবর,ঠাকুর বাড়ি এলাকায় একই অবস্থা। স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সব চেয়ে বড় মাছ যেটা সেটা আমরা বিক্রি করছি, মাত্র ১০০০ টাকা। আর সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা।কিন্তু,বাজারে ১৮০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৬৫০ টাকা। দুগুন বেশি দামে বিক্রি করার তথ্য পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের বর্তমান আয়ের উপর দৃষ্টি রাখলে যেমনঃ একজন ভ্যান চালক, দিন মজুরীর কাছে ইলিশ মাছ ঘুমের স্বপ্নের কল্পনার মাছের তুলনায় রয়েছে। গ্রামের অনেকে ইলিশ মাছ বলতেই ভয় পাই। চালনা পৌরসভার এলাকার একজন অসহায় মহিলা যার ভিক্ষা করে জীবন যাপন করে জীবন জীবিকা চলে। বৃদ্ধ বিধবা মহিলা জহুরা বেগম বলেন, আমার তিন মেয়ে ছেলে নেই। একটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। দুই মেয়ে ও আমি সংসারে আছি। তাছাড়া আমার বিধবা ভাতা আছে। কিন্তু, তাতে সংসার ঠিক মত চলে না। খুব কষ্ট হয়ে যায়। কয়েক দিন আগে আমার মেয়েরা ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছেন। আমি ইলিশ মাছে কিনতে গেলে, মাছের দাম শুনে চলে আসি। পরে লবন দেওয়া ইলিশ মাছ নিয়ে কে যেন হাজির। পরে সুতারখালী ইউনিয়নের যুবক নতুন চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী নাজমুল হাসান এক কেজি মাছ কিনে এক সাংবাদিককে দিয়ে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তাছাড়া এই নাজমুল পোলা আমাকে আমও কিনে দিয়েছিল।আমি মা হিসেবে নাজমুলের জন্য প্রান খুলে দোয়া করি। এ বিষয় মুটোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে গাজী নাজমুল হাসান আলোর খবরকে জানান, আমি দাকোপের সন্তান, আমি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছি, এবং যত দিন বেচে আছি এ ভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে মরতে চাই। আমি বিশেষ করে দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে দাকোপের অসহায় মানুষের জনকল্যাণে কাজ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নিয়েছি। আমার কাছে কোন অন্যায় অপরাধকারীর স্থান নাই। আমি সত্যের সাথে বাস্তবতা নিয়ে এ সমাজের সকল মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলেমিশে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আরো বলেন,আমার কানে কোন গরীব অসহায়ের না খাওয়া, চিকিৎসার সেবায় ব্যর্থ এমন খবর আসলে তৎক্ষনিক খাবার ওষুধ পৌছিয়ে দেওয়া হবে। দাকোপের সাধারণ মানুষের দাবি এভাবে যদি গাজী নাজমুল হাসানের মত অসহায় মানুষের কল্যাণে মানবিক সেবায় সকলে এগিয়ে আসতো তাহলে সমাজ পরিবর্তন হয়ে যেত। গাজী নাজমুল হাসানের এমন মানব কল্যানমুখি কাজের তারিপে এলাকাবাসি দাকোপ উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মহাদোয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। গরীব অসহায় পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে বিশেষ করে। চালনা বৌমার গাছতলা নামক মেইন মাছ বাজার,কাচাবাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ