ডেস্ক রিপোর্টঃ দাকোপের কামিনীবাসিয়ায় মধ্যে রাতে ঘেরের বাসায় আগুন ও লুটপাট ভাংচুর মালিক ও কর্মচারী
মারাত্মক জখম। জরুরি অবস্থায় দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। খুলনার দাকোপ উপজেলার ৭নং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া মধ্য পাড়া ওয়াপদা রাস্তার পাশে আঃ হাকিম মোড়লের গলদা চিংড়ির সাদা মাছের ঘের ও পোল্ট্রি ফার্মে গভীর রাতে আগুন ও লুটপাট ভাংচুর বেদম মারপিটে মারাত্মক জখম হয়ে, ঘেরের মালিক আঃ হাকিম মোড়ল ও কর্মচারী জয়ন্ত মন্ডল মাথায় গুরুতর আঘাত ও জখম নিয়ে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ঘের মালিক আঃ হাকিম মোড়ল বাদী হয়ে দাকোপ থানা বরাবর একখানা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ওই এলাকার পঞ্চানন মন্ডল,পিং মৃত পুলিন মন্ডলের সহিত দীর্ঘ দিন জমিজমা নিয়ে বিরুদ্ধ চলে আসছিল। তাছাড়া পঞ্চানন মন্ডলের নামে খুলনা কোর্টে অর্থ লেনদেনের বিষয় চেক নিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। তারই সুত্র ধরে রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ঘের মালিক আঃ হাকিমের দাবি। সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়,মাষ্টার পঞ্চানন মন্ডলের ঘেরের বাসা ও আঃ হাকিম মোড়লের ঘেরের বাসা প্রায় স্ব-নিকটে। ঘের মালিক আঃ হাকিম মোড়ল আলোর খবরকে বলেন, তখন রাত আনুমানিক ১২ টা প্রায় ১৫ জনের একটি দল হঠাৎ অনুপ্রবেশ করে এবং আমাকে ও আমার কর্মচারীর চোখ ও হাত পা বেঁধে ফেলে। এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে এবং ঘেরের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পঞ্চাননের নামে কোর্টে চলমান চেকের মামলা উঠায় নেওয়ার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাকে ও আমার কর্মচারীকে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনার বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য মাস্টার পঞ্চানন মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তার পরিবার থেকে জানা যায়, তিনি সকালে চালনায় গিয়েছে। পরে তার মুঠো ফোনে কল করলে মন্টু নামের এক ব্যক্তি বার বার রিসিভ করে। এ ঘটনার বিষয় এলাকা বাসি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ