দাকোপে ওয়ালটন প্লাজা স্বনামে এগিয়ে,মাহাবুবের স্ত্রীর হাতে আর্থিক সহয়তা


দাকোপে ওয়ালটন প্লাজা স্বনামে এগিয়ে,মাহাবুবের স্ত্রীর হাতে আর্থিক সহয়তা
আরিফুল ইসলাম গাজী,দাকোপ প্রতিনিধিঃ
দাকোপ উপজেলায় ক্রেতার মৃত্যুতে শোক ও গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান। গত ২৭ ডিসেম্বর রোজ বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময়।দাকোপ উপজেলার চালনা বাজার ওয়ালটন প্লাজা প্রতিষ্ঠানের এক গ্রাহকের মৃত্যুতে পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা করলেন ওয়ালটন প্লাজা প্রতিষ্ঠান। খুলনার দাকোপ উপজেলায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দেশের শীর্ষ থাকা ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের মাল্টি ন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। যা সারা বাংলাসহ দেশ বিদেশে ছড়িয়ে মানুষের মন কেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দাকোপ উপজেলার চালনা বাজার ওয়ালটন প্লাজা কিস্তিতে গ্রহকের সুবিধার্থে ওয়ালটন সকল পন্য সামগ্রি বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।গত কয়েক মাস পূর্বে ১নং পানখালী ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের বাসিন্দা মো: মাহাবুর মোল্ল্যা, পিতা-মো: সাহেব আলী মোল্ল্যা, গ্রাম-মৌখালী,ডাকঘর- পানখালী, থানা- দাকোপ, জেলা- খুলনা। চালনা ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ফ্রিজ ক্রয় করেন।তিনি ৩টি কিস্তি পরিশোধ করার পর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এবং অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এমন খবরে ওয়লটন প্লাজা প্রতিষ্ঠান তার পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নেন। এবং গভীর শোকাহত হয়ে পরিবারের প্রতি সান্তনা দেন। পরবর্তীতে গ্রাহকের পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় রয়েছে এমন বিধানে কিস্তি মওকুফ করেন। এবং গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা প্রতিষ্ঠানের রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার খুলনা এরিয়া ওয়াল্টন গ্রুপের খালেদ আহমেদ এবং ম্যানেজার শামীম আহমেদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ঐ সময় মোহাম্মদ মাহাবুর মোল্লার স্ত্রী রিনা বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে তুলে দেন ২৫ হাজার টাকা। ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই সহায়তা পেয়ে মাহাবুবের স্ত্রী স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বলেন, কিস্তির টাকা মওকুফ করা হয়েছে ও বাড়তি আর্থিক সুবিধা পেয়ে পুলকিত আমি খুশি। তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন প্লাজা একটি গরীবের প্রতিষ্ঠান, এ প্রতিষ্ঠানের সাথে থেকে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা বলেন,সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। মৃত কিস্তি ক্রেতা মাহাবুর মোল্লার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা। এর থেকে কিস্তির অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের পর তারা পেয়েছেন মোট ২৫ হাজার ২১৫ টাকা।ওয়ালটন প্লাজা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানান, ‘মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। কিন্তু কিস্তিতে পণ্য কেনার পর নিজে বা পরিবারের সদস্য মারা গেলে কিস্তি মওকুফসহ বিপরীতে অনুদান পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। মানুষ মারা গেলেও অনুদান পাওয়া যায় ওয়ালটন প্লাজা তার একমাত্র উদাহারণ। ওয়ালটন প্রমাণ করেছে, কাস্টমার সার্ভিসে স্বনাম কেড়েছে। তারা দেশ-বিদেশের মানুষের হৃদয়ে এভাবেই জায়গা করে নিয়েছে।