দাকোপে একাদিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক অবৈধ ভাবে চলছে প্রশাসন নিরব!

মোকলেছুর রহমানঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা এলাকার একাদিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক চলছে সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়া। দাকোপ উপজেলার চালনার অনেক ক্লিনিকে নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন আর লাইসেন্স।একাদিক রোগীর পরীক্ষা নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ক্লিনিক করে বসে আছে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশে।এ প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে প্রতিযোগিতা মুলক রোগীকে নিয়ে টানাটানি। কে কার আগে তার ক্লিনিকে রোগীর স্বজন বা রোগীকে নিতে পারেন। এমন চিত্র দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে বা বাইরের গেটে দাড়ালেই চোখে মেলে। এ ক্লিনিক গুলোতে রোগীর দূর্বলতা নিয়ে সুবিধা হাঁকাচ্ছে। রোগীকে প্রতিষ্ঠানে নিতে পারলেই চিংড়ি মাছের বাজারের মত দাম কশাকশি করে সর্ব শেষ পরীক্ষা হয়। রক্ত পরীক্ষা,ডায়াবেটিস পরীক্ষার মত সাধারণ পরীক্ষাগুলো প্রতিনিয়ত ভুল করে রোগীকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলছে। আবার কখনো কখনো একই পরীক্ষা অন্য ল্যাবে বা টেকনিশিয়ান ধারা করালে রিপোর্ট দু’ধরনের হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমতাবস্তায় প্রশাসনের কোন জোরালো ভূমিকা বা প্রক্ষেপ দেখা যায়নি। ক্লিনিক গুলো ক্ষমতা ও গায়ের জোরে প্রভাবশালী নেতাদের শক্তিতে চলছে বলে এলাকা বাসির অভিযোগ।গোপনে জানা যায়, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারীরা ক্লিনিক গুলোর সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাছাড়া রোগীকে কৌশলে পরীক্ষার জন্য নাম ধরে উক্ত ক্লিনিকে পাঠানো হয় কমিশনের লোভে। গোপন খবর নিয়ে জানা যায়, কিছু ক্লিনিকে টেকনিশিয়ান না থাকলেও সাধারণ লোক দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে রোগীকে দেওয়া হয়। আবার পরবর্তীতে সেই রিপোর্ট সঠিক নয় বলে প্রমানিত হয়। আবার দেখা যায়, পরীক্ষার উক্ত মেশিন না থাকলেও রিপোর্ট তৈরি করে রোগীকে দিয়ে প্রতারণা করে। আর একটি বিষয় দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে তাকালেই চোখে পড়ে পরিষ্কার হাসপাতাল কতৃপক্ষের লেখা নির্দেশনা। দুপুর ২ টার পূর্বে কোন ওষুধ কোম্পানির লোক ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। কিন্তু কে কার নিষ্ক্রিয় শোনে!
দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে থাকে রোগীদের কাতারে। ওষুধ কোম্পানির লোকের চাপে রোগীদের সুযোগ থাকেনা ডাক্তারের সাথে পরমর্শ বা সেবা নেওয়ার। লিপি বেগম নামের এক রোগী বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী, ওষুধ কোম্পানির লোকের যে চাপ, তাতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় কোন রোগী ডাক্তারের কাছে আসলে রোগী তো দূরে থাক! সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে! তাছাড়া ওষুধ কোম্পানির ফ্রী ওষুধ, আর কমিশনের টাকার কাছে কিছু ডাক্তার অন্ধ হয়ে রয়েছে। একটি সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালের কিছু ডাক্তার সকাল ১০ টায় এসে রোগীদের রোগের নামে পরীক্ষা দেয়। এবং পরীক্ষাগুলো করার বিষয় ডাক্তারের সুবিধা নামের ক্লিনিক বা ল্যাবের নাম উল্লেখ করে পাঠানো হয়। উক্ত ক্লিনিকে পরীক্ষা না করলে ডাক্তার পরীক্ষা হয়নি বলে জানিয়ে দেয়। আবার অনেক সময় দেখা যায়,পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দুপুর ১ টা পার হয়ে যায়। তখন ডাক্তার সাহেব কোন এক ক্লিনিকে আছেন।এখন ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ বা দেখা করতে চাইলে ২০০ থেকে ৩০০ শত টাকা গুনতে হয়। দাকোপ উপজেলা সুশীল সমাজ ও চালনাবাসি সুষ্ঠ সুন্দর সমাধানের জন্য উক্ত ক্লিনিকগুলো প্রশাসনিক ভাবে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ও সকল ওষুধ কোম্পানি লোকের বিরুদ্ধে এবং অসাদু কিছু ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জোর দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ