দাকোপে অনার্স পড়ুয়া যুবককে মারধরের অভিযোগ দফাদার নিমাই এর বিরুদ্ধে

ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নিমাই জোয়ার্দারের হাতে মারধরের শিকার হয়ে আলামিন নামের এক যুব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় আলামিনের পরিবার ন্যায়বিচারের দাবি দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। আলামিন মোল্লা লাউডোব ইউনিয়নের খুটাখালী বাজার এলাকার বাসিন্দা জলিল মোল্লার পুত্র।গত ইং ২৮ অক্টোবর রোজ শনিবার তুচ্ছ ঘটানাকে কেন্দ্র করে আলামিনের উপর এ নির্মম অত্যাচার চালায় দফাদার নিমাই জোয়ার্দার।একটি সুত্রে জানা য়ায়, লাউডোব কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে প্রসাব করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত। লাউডোব কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে প্রসাব করে সালমান’ সাহা নামের এক ব্যক্তি। এ বিষয় লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার লিপিকা মন্ডলকে স্থানীয় জনগন জানান। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য মহিলা মেম্বার পথের ধারে দাড়িয়ে অবস্থান করে, জানতে চাওয়া মহূর্তে। তিন যুবক দুষ্টুমি করতে করতে জুতা মহিলা মেম্বারের হাতের উপর গিয়ে পড়ে। তখন মহিলা মেম্বার লিপিকা মিস্ত্রি ক্ষিপ্ত হয় এবং কে এমন কাজ করেছে জানতে চাওয়া মহূর্তে!জানতে পারেন, অল্প বয়সী তিন যুবক দুষ্টুমি করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিন যুবকের মধ্যে আলামিন মোল্লা এমন ঘটনা না করেও বন্ধুদের পক্ষ থেকে দু’হাত জড়ো করে মহিলা মেম্বারের নিকট ক্ষমা চায়। আলামিন জানান,আমি নিজে আন্টিকে বলেছি, আমরা আপনার সন্তানের মত। তিনি কোন কথা না শুনে দফাদার নিমাই জোয়ার্দার বাবুকে ফোন করেন। অল্প কিছুক্ষনের মধ্য দফাদার হাজির হয়। দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আলামিন মোল্লাকে ইজিবাইকে করে নিয়ে যায়।পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং বুকে পিটে লাথি ঘুসি মারে। পরে দফাদার মুটোফোনে কল করে আলামিনের বাবাকে বলে,তোমার ছেলেরে নিয়ে যাও পরিষদ থেকে। পরে তার বাবা ও আত্মীয় স্বজনেরা উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এ ঘটনায় এলাকাবাসিও আলামিনের পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এলাকা খোজ নিয়ে জানা যায়, আলামিন শান্ত প্রকৃতির,ভদ্রছেলে,সে খুব মেধাবী। বাবা মায়ের সাথে অনেক কষ্ট করে, সংসারের হালধরে তার লেখা পড়া করে চলেছে। এলাকা বাসির ভাষ্য আলামিনকে এভাবে মারা চরম অন্যায় হয়েছে দফাদারের। এ ঘটনার বিষয় মহিলা মেম্বার লিপিকা মন্ডল মুটোফোন জানান, আমি বুঝতে পারিনি এমন হবে। আর আমি জানি না যে, দফাদার নিমাই জোয়ার্দার কখন ওরে ডেকে নিয়ে গেছে। পরে মারধরের বিষয় জানতে পেরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছি। এবং চেয়ারম্যান বাবুকে এ বিষয় জানানো হয়েছে। তাড়াছা আমি হাসপাতালে নিজে গিয়ে রোগীর খোঁজ খবর নিয়েছি।চিকিৎসার জন্য আমরা বিশেষ সর্বক্ষন যোগাযোগ রাখছি।ঘটনা ঘটার পরে দফাদার নিমাই জোয়ার্দারের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আলামিনের শরীরে একাদিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আলামিনের বাবা-মা সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ, হাঁটাচলা করতে পারছে না।এ মহূর্তে আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার দরকার।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ