ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ ৪ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা। দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সামনের খোলা বারেন্ডার নিচেয় সমাপ্তি নামের এক গৃহবধূর লাশ পড়ে আছে। আশপাশে কেহ নেই, কন স্বজন, নেই লাশের পাশে কেহ। পরে জানা গেল,
দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের তেলির কোনা নামক এলাকায় সমাপ্তি সানা নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহ মুলক গৃহবধূর স্বামী সমিরনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দাকোপ থানা পুলিশ আটক করেছে।জানা যায়, একই উপজলার পানখালী ইউনিয়নের বারুইখালী গ্রামের রতন সানার বড় কন্যা।সমাপ্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, সুতারখালীর তেলির কোনা নামক এলাকার সমিরনের সাথে প্রেম ভালো বাসার সম্পর্ক করে দু’জন দু’জনার বিবাহ হয়। এ বিয়েতে সমাপ্তির পরিবারের প্রথমে মত না থাকলেও পরবর্তীতে দু’পরিবারের মধ্য আন্তরিকতা তৈরি হয়। বেশ ভালোই চলছিল, তাদের সংসার। দুই পরিবারের মধ্য আন্তরিকতা তৈরি হওয়ার পর কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় অশান্তি।বিভিন্ন সময় সমাপ্তির পরিবারের উপর টাকার জন্য তার স্বামী সমিরন অত্যাচার নির্যাতন চালায়। সর্ব শেষ গত ইং ১লা এপ্রিল সমাপ্তি মোবাইল ফোনে তার বোনের নিকট ১০ হাজার টাকা চায়। এবং বলে টাকা ছাড়া আমার সংসার করা হবে না। তারপরে দু’দিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। সমাপ্তির পরিবার সুত্রে আরো জানা যায়,এ মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে না জানিয়ে তার ভাসুর ও স্বামী সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যায়, এবং খোলা জায়গায় বারেন্ডায় লাশ রেখে তারা থানা পুলিশে আগাম খবর নিয়ে হাজির হয়। তার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে এ মর্মে স্বীকারোক্তি জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কালে। তাদের কথাবার্তা আচার-আচরণ পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন দাকোপ থানা পুলিশ সমিরনকে আটক করে। এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা বাসি ও সমাপ্তির পরিবারের অভিযোগ এটা স্বাভাবিক বা কোন বিষ পানে মৃত্যু নয়, এটা একটি হত্যা। এ ঘটনায় এলাকা বাসি ও গৃহবধূর পরিবার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ