খুলনার দাকোপ উপজেলার ২ নং দাকোপ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাহেবের আবাদ গ্রামে দীর্ঘদিন তিনটি পরিবারের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরুদ্ধ চলে আসছে।

জানা যায়, সাহেবের আবাদ গ্রামের নীলকমল মোড়ল পিং মৃত সাহেব মোড়ল, সুমন ভট্টাচার্য পিং মৃত সুভাষ ভট্টাচার্য সর্ব সাং- সাহেবের আবাদ দাকোপ, খুলনা। এর সাথে

একই এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী মহাদেব মোড়ল, পিং বনোমলি মোড়ল, কালিপদ বর্মন,পিং নগেন বর্মন এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরুদ্ধ লেগে আছে।

গত ইং ২০ এপ্রিল রোজ বুধবার সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, তিনটি শরিকের যাতায়াতের একমাত্র পথ মহাদেব মোড়ল ও কালিপদ বর্মন তার লোক জন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।

নীলকমল মোড়ল সাংবাদিকদের জানান, এটা আমার পৈতৃক সম্পত্তি, মুলত গেনজাম রাস্তা নিয়ে। আমাদের চলাফেরা করার জন্য এক মাত্র পথ এটা।

এই পথ দিয়ে আমাদের দুই শরিক যাওয়া আসা করে। তাছাড়া পথটি আমাদের পরিবারের ঠাকুর দার আমল থেকে।

গত চার মাস আগে গায়ের জোরে কালিপদ বর্মন আর মহাদেব মোড়ল ওই দু পরিবার এক হয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরো বলেন,আমাদের তিন শরিকের জমির অংশ রাস্তায় রয়েছে। তাই সবার অধিকার রয়েছে রাস্তা চলাচল করার।

নীলকমল মোড়ল সাংবাদিকদের আরো বলেন, গত ইং ২০ এপ্রিল রোজ বুধবার সময় সকাল ৮ টা ২০ মিনিট।

আমার বৃদ্ধ মা এস্ট্রোক জনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমরা ও আমার পরিবার বাড়ি থেকে মাকে নিয়ে যে, রাস্তায় উঠবো চিকিৎসার জন্য। কোন উপায় ছিলো না।

তাই এলাকার ইউপি সদস্য জনাব বিশ্বজিৎ মন্ডল খবর শুনে ছুটে আসে আমার বাড়ি। মেম্বার মানবিক দৃষ্টিতে নিজ হাতে বন্ধ রাস্তা খুলে দেন।

এবং বৃদ্ধ মাকে নিয়ে তৎক্ষনিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য রওনা হই। পরে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে দেখি রাস্তা বন্ধ।

আমার প্রতিবেশী মহাদেব মোড়ল ও কালিপদ বর্মনকে ডেকে জিজ্ঞেসা করতেই অকথ্য গালিগালাজ, হুমকি, লাঠিসোটা নিয়ে মারার চেষ্টায় করে।

উপরোক্ত ঘটনার বিষয় মহাদেব মোড়ল সাংবাদিকদের বলেন, আমি শান্তি চাই, আমরা মিলে মিশে থাকতে চাই। কিন্তু,ওরা অসামাজিক ওরা সেটা চায় না।

চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে বিচার দেওয়া আছে। দেখি ওনি কি করেন!

মহাদেব মোড়ল আরো বলেন রাস্তাটি পুরো আমার জমির ভিতর। তাই আপাতত আমরা বন্ধ করে রেখেছি।

এ বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান বাবু জানেন। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বাবুর নিকট অভিযোগ করাও হয়েছে।

সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে এলাকার ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ মন্ডল বলেন, আমি গত ইং ২০ এপ্রিল সকালে রাস্তা মানবিক দিক তাকিয়ে খুলে দিয়ে আসি।

কিন্তু,পরে আবার নাকি বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আসলে যতটুকু জানি রাস্তাটি ওই পরিবারের সকলের চলাফেরার জন্য।

পরে ওই এলাকার চেয়ারম্যান জনাব বিনয় কৃষ্ণ রায়কে মুটোফোনে কল করা হয়,

তিনি বলেন পরিষদে উক্ত বিষয় নিয়ে একখানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমি ব্যস্ততার জন্য মিমাংসা করতে পারছি না। ঈদের পরে যে কোন একদিন বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।

এলাকা বাসি ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ সুশীল সমাজ দু পরিবারের পরিস্থিতি দেখে মনে করছে যে, যেকোন সময় এই দু পরিবারের মধ্যে বড় ধারনের হামলা মামলা হতে পারে।

তাই দাকোপ উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এক মাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি খুলে খুলে দিলে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে বলে এলাকা বাসির ধারণা।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ