দাকোপের সাহেবের আবাদ গ্রামে পোষা ছাগলকে কেন্দ্র করে মারামারি সংঘর্ষে মারাত্মক জখম ১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাহেবের আবাদ গ্রামে পোষা ছাগল নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তনয় নামের এক যুবক। জানা যায়, গত ইং ১৬ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার সন্ধ্যায় তনয় মন্ডলের ৬টি পোষা ছাগল বাড়িতে আসে না। তনয় মন্ডল ১৭ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার খুব ভোরে ছাগলের সন্ধানে বের হয়। এলাকায় বিভিন্ন লোকের মুখে ও আশপাশের সরকারি খোয়াড়গুলোতে খবর নিয়েও কোন সন্ধান মিলে না। তখন তনয় মন্ডল হতাশায় চিন্তিত হয়ে পড়ে। হঠাৎ কোন এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন। একই এলাকার বাসিন্দা ১)দীপংকর রায়, রাধাকান্ত রায়,উভয় পিং মনোরঞ্জন রায়,৩) জন রায় পিং দীপংকর রায়,৪) শিলা রায়, স্বামী দীপংকর রায়, ৫) শ্যামলী রায়,স্বামী জন রায়,সর্ব সাং সাহেবের আবাদ দাকোপ,খুলনা। তারা ছাগলগুলো তাদের বাড়িতে আটকিয়ে রেখেছেন। তখন তনয় মন্ডল উপরোক্ত উল্লেখিত ব্যক্তিদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। পথে মধ্যে দীপংকর রায়সহ অন্যান্য সদস্যদের সাথে দেখা হয়। তনয় মন্ডল ছাগলের ব্যাপারে জানতে চাইলে,অকৃত্য গালিগালাজ ও লাঠিসোটা নিয়ে দীপংকার ও তার দলবল নিয়ে সজরে তনয় মন্ডলের মাথায় আঘাত করে। এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে এবং তনয় মন্ডলের কপালের বাম চোখের পাশে দা দিয়ে কোপ মেরে মারাত্মক জখম করে। তনয় মন্ডলের আত্নচিৎকারে ছুটে আসেন বাচাতে তার বড় ভাই ও ভাইজি, তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করে। এবং কাছে থাকা সোনার মালামাল ও টাকা পয়সা লুট করে মৃত্যু অবস্থায় পেলে রেখে দীপংকর বাহিনী স্থান ত্যাগ করে ।পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তনয় মন্ডলকে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি অবস্থায় ভর্তি করেন। তার চোখের বাম পাশে ২৬টি শেলাই লেগেছে ও তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে জানা যায়। এ ঘটনায় তনয় মন্ডল বাদী হয়ে দাকোপ থানায় এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তনয় মন্ডল হাসপাতালে ছিল।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ