দাকোপের শিক্ষা অফিসের নৈশপ্রহরী আঃ সামাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসি


ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার শিক্ষা অফিসের নৈশপ্রহরী আঃ সামাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ প্রমানিত হওয়া শর্তেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। গত ইং ২০জানুয়ারি খুলনা থেকে প্রকাশিত একাধিক পত্র-পত্রিকা আইপি টিভিসহ বিভিন্ন সমাজিক গণমাধ্যম ও ফেসবুকে আঃ সামাদের বিরুদ্ধে বই বিতরনে অর্থ নেওয়া,পূর্বের ঘটনায় নারী কেলেংকারীর মত ঘটনা তুলে ধরে প্রকাশিত হয়। বই বিতরণের মহূর্তে অর্থ লেনদেনের ভিডিও পরিষ্কার দেখা যায়। তাছাড়া বই নিতে আসা একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষকরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আঃ সামাদের বিরুদ্ধে নানাবিধি অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করেন। শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার নতুন বছরের-২০২৫ সালের বিনামূল্যে সরকারী বই বিতরনে দাকোপের মোট ৪৪টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি মাদ্রাসা বই পায়। সব মিলে বই নিতে আসা ব্যক্তিরা আঃ সামাদের হাত থেকে পায় না রেহায়।
দীর্ঘ ২৭ বছর একই কর্মস্থলে থেকে চাকরী করে চলেছে। সে শিক্ষা অফিসের নৈশপ্রহরী থাকলেও কখনো কোন দিন তাকে দেখা যায়নি,নৈশপ্রহরীর চিত্রে। সাধারণত অফিসে গেলে মনে হবে তিনি কোন বড় মাপের কর্মকর্তা।এই আঃ সামাদের বিষয় বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ কালে গোপনে সুত্রে আরো জানা যায়, আঃ সামাদ ছাড়া অফিসে হয় না দপ্তরিক বা ট্রেনিং কার্যক্রম। কোন শিক্ষক বদলী বা নিয়োগের বিষয়ও তার সাথে আলাপ করতে হয়। তিনি একজন ব্যস্ত দায়িত্ববান কর্মচারী, তার সাথে অফিসে দেখা করতে গিয়ে দেখা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের থেকে তিনি ব্যস্ত। শিক্ষা অফিসারের সাথে সহজে কথা বলা গেলেও তিনি সময় দিতে নারাজ। অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া গেলেও তিনি দুপুরের খাবার না খেয়ে কথা বলতে পারবেন না। পুরো ১ঘন্টা অপেক্ষার পর, দুপুরের সাড়ে ৩ টা বাজলেও নেই কোন খবর। সর্ব শেষ শিক্ষা অফিসার পরিতোষ কুমার আউলিয়ার সহিত সাক্ষাৎতে জানান, আঃ সামাদের অর্থ নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ কেউ করেনি।বিষয়টি প্রয়োজনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে আঃ সামাদের মুঠোফোনে কয়েক বার কল করা হলে রিসিভ হয় না। গত ইং ১৬তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৌমার গাছতলা নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। নাইটগার্ড আঃ সামাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে এটা মিথ্যা বানোয়াট সাজানো ভুল তথ্য। একটি মহল আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে,ইতিমধ্যে সেই সংবাদের প্রতিবাদও জানিয়েছি।অফিসের বিভিন্ন কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, জনবল সংকটের কারনে অনেক কাজ করতে হয়। অন্যান্য অভিযোগের বিষয় গুলি তিনি জানেন না বলে দাবী করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন। দাকোপ উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাকোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক- শিক্ষিকা, সুশীল সমাজ, কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উক্ত অভিযোগের বিষয় দুঃখ প্রকাশ করে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান।