দাকোপের বারুইখালীতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘর্ষে হাসপাতালে ২


ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার বারুইখালীতে পাশ্ববর্তী পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন জমিজমা ও বাকবিতন্ড নিয়ে দু’পক্ষের ঝগড়া বিভেদ চলে আসছিল। তারই সুত্র ধরে পহেলা (১)ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায়। বসত ঘর নির্মাণের বিষয়সহ পোষা বিড়াল হারিয়ে যাওয়া কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কবিতর্ক শুরু হয়।ওই সময় বারুইখালী গ্রামের বাসিন্দা বিকাশচন্দ্র সাহার স্ত্রী পূর্নিমা সাহা,ও বড় কন্যা হ্যাপি সাহাকে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল শেখের পুত্র মোঃ বিলাল শেখ,তার স্ত্রী লিপি বেগম ও বড় কন্যা ময়না বেগম,বিল্লাল শেখের মাতা জাহানারা বেগম, বিল্লাল শেখের নানী ছবিরন বিবি একত্রিত হয়ে পূর্নিমা সাহা এবং তার বড় কন্যাকে বেদম মারপিটসহ ঘর বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট ভাংচুর ও শারীরিক শ্লীলতা চালায়। তাছাড়া ওই সময় পূর্নিমা সাহা ও হ্যাপি সাহার কাছে থাকা স্বর্ণের অলংকার কানের দুল ও চেইন খুলে নেয়। এখানে নরকিও নির্যাতনের শেষ নয়। পরে পূর্নিমা সাহা ও হ্যাপি সাহাকে চুলের মুটি ধরে। পূর্নিমা সাহা ও হ্যাপি সাহাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। হ্যাপি সাহা জবরদস্তি চালিয়ে বাঁচতে পারলেও তার মাথার এক গুচ্ছ চুল ছিড়ে থেকে যায়। কিন্তু পূর্নিমা সাহা রেহাই পায় না। চুলের মুটি ধরে বিলাল শেখ তার নিজ বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় এবং তালাবদ্ধ করে রাখে তার মাকে। ওই সময় তার উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এমতাবস্থায় পূর্নিমা সাহার বড় কন্যা কোন উপায় না পেয়ে মায়ের আটকের বিষয় দাকোপ থানা অফিসার্স ইনচার্জ আলহাজ্ব আঃ হক সাহেবকে ঘটনার বিষয় জানায় ও সাহায্য চায়। তৎক্ষনিক খবর পেয়ে দাকোপ থানা পুলিশের এস আই স্বপন কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স পুলিশ সদস্য কামরুল ইসলামসহ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবং পূর্নিমা সাহাকে তালাবদ্ধ অবস্থায় বিল্লাল শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ওই সময় পুলিশের সাথে ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দাকোপ উপজেলা শাখা কমিটির দায়িত্বরত সভাপতি মোকলেছুর রহমান, ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন ও গণমাধ্যম কর্মীরা। তাছাড়া মারামারির খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে। তাকে দেখতে যান বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ।বিশেষ করে সর্বক্ষন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দাকোপ উপজেলা শাখা কমিটির দায়িত্বরত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এস আই স্বপন কুমার রায়ের সাথে থেকে রোগীদের সেবা যত্নের বিষয় খোঁজখবর নেওয়া সহ সার্বিক সহযোগিতা করেন।