দাকোপের বটবুনিয়ায় রহমাত আলী সরদারের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বটবুনিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে রহমাত আলী সরদারের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় একটি মহল।খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রহমাত আলী সরদারের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে,আব্বাস বিশ্বাস ও তার ভাই আসাদ বিশ্বাসের নামে।সরজমিনে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, বটবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু শুকুর আলী সরদারের ওয়ারেশ সুত্রে রহমাত আলী সরদারসহ অন্যান্য ওয়ারেশ সুত্রে সম্পত্তির মালিক। তাছাড়া এর পূর্বে এ জমি একটি প্রভাবশালী মহল গায়ের জোরে ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ভোগদখল করেছে।পরে বাংলাদেশ সরকার জনগনের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রীর পরিষ্কার ভাষ্য দলিল যার জমি তার। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালতে রহমাত আলী সরদার জমি পাইবার জন্য পূর্বের দখলীদের নামে মামলা দায়ের করেন।মামলায় সকল কাগজ পত্র ও স্বাক্ষপ্রমাণের উপর জমি রহমাতের পক্ষে বিজ্ঞ আদালতের রায় আসে। এবং সেই থেকে রহমাত আলী সরদারের সকল ওয়ারেশগন এই জমি ভোগদখল করে আসছে।কিন্তু,হঠাৎ এ বছর রহমাতের পৈতৃক সম্পত্তির জমিতে একই উপজেলার জয়নগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্বাস বিশ্বাস ও তার ভাই আসাদ বিশ্বাস অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করে চলছে,এমন অভিযোগ রহমাত আলীসহ অন্যান্যদের।রহমাত আলী সরদার বলেন,জোরপূর্বক আব্বাস বিশ্বাস ও তার ভাই আসাদ বিশ্বাস জমি দখল করার জন্য সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আব্বাস বিশ্বাস ও আসাদ বিশ্বাসের কোন কাগজ পত্র বৈধ নয়। তাদের যে কাগজ পত্র আছে, সে গুলো নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান।রহমাত আলী সরদার আরো বলেন, আব্বাস ও আসাদ আমাকে বিভিন্ন কায়দায় হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে জমি দখল দিতে চাই। আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি তাই, বিজ্ঞ আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি। বিজ্ঞ আদালতের যে আদেশ আসবে,আমি বা আমরা সাথে সাথে পালন করবো। কিন্তু,ভয়ভীতি দিয়ে জমি দখল করতে দেওয়া হবে না। সত্যের জয় সারা জীবন, মিথ্যার পরাজয়।প্রতিপক্ষ আব্বাস বিশ্বাস ও আসাদ বিশ্বাস আলোর খবরকে বলেন, ঐখানে জমি পাবো ১একর সাড়ে ৭৪ শতাংশ। আমরা ক্রয়কৃত সুত্রে এ জমির মালিক। আমাদের জমি ছেড়ে দিলে তো কোন মামলা মোকদ্দমা থাকছে না। এখন জমি রোপণের মৌসুম। আমরা জমি রোপণ করার জন্য এসেছি।এলাকা বাসি ও স্থানীয় জনসাধারণের ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, এ জমির মুল মালিক মৃত্যু শুকুর আলী সরদার, তিনি মৃত্যুবরণ করার পর ওয়ারেশ সুত্রে রহমাতসহ রহমাতের অন্যান্য গনগোষ্ঠির।এ জমিতে রহমাতের পূর্বে একটি প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক ভোগদখল করেছে। পরে বিজ্ঞ আদালতের মামলা মোকদ্দমায় হেরে এই জমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সেই থেকে রহমাত আলী সরদারসহ তারা ভোগদখল করছে।বর্তমান পরিস্থিতি ও দু’পক্ষের আইনজীবির ভাষ্য অনুযায়ী উক্ত বিতর্কিত জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। বিজ্ঞ আদালতের আইনের রায়ের প্রতি ধৈর্য ধারণ ও সুদৃষ্টি রেখে, যার যার অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ