দাকোপের প্রশাসন নিরব,বেশি দামে অসুস্থ পশু গরু,ছাগল,ভেড়ার মাংস বিক্রি
দাকোপের প্রশাসন নিরব,বেশি দামে অসুস্থ পশু গরু,ছাগল,ভেড়ার মাংস বিক্রি
ডেস্ক রিপোর্টঃ দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের সামনে চোখের নাগালে গরুও খাসির মাংস অতিরিক্ত দামে বিক্রি,নেই কোন পদক্ষেপ।বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় গরু ও খাসির মাংস বিক্রির নির্ধারিত দাম রয়েছে।এবং সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল,ভেড়ার মাংস। কিন্তু,দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা এলাকার কোসায়েরা তা মানছে না। নেই কোন নিয়মনীতি। জানা যায়, দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন খান মার্কেট ও দাকোপ হেড কোয়ার্টার জামে মসজিদের সামনে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার গরু জবাই করা হয়। তাছাড়া থানা হেডকোয়ার্টার মসজিদের সামনে ছাগল ভেড়া জবাই করা হয়। সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, রাতের আঁধারে গরু জবাই করে নিয়ে আসে উক্ত স্থানে। গোপন সুত্রে জানা যায়,দিনের বেলায় তাজা সুস্থ গরু বাজার দিয়ে লোক সমাজে দেখিয়ে আকর্ষিত করে। পরে রাতের আঁধারে বৃদ্ধবকনা অসুস্থ গরু জবাই করে। তাছাড়া ছাগল ভেড়ার দিকে তাকালেও একই অবস্থা। পি পি রোগে আক্রান্ত ছাগল গ্রাম থেকে কম দামে ক্রয় করে। পরবর্তীতে সেই ছাগল ভেড়া রাতে জবাই করে নিয়ে আসে, তা আবার খাসির মাংস বলে চালিয়ে দেয়। আবার কোন কোন সময় অসুস্থ ছাগল রাতে মৃত্যুবস্থায় জবাই করে বরফেও রাখে। এটা দাকোপের কিছু অসাধু কসায়দের চিত্র। আবার ধনী লোকের জন্য মাংস বিক্রি করে। গরীবের কোন সুযোগ নেই।কেহ ৫০০ গ্রাম মাংস চাইলে দেওয়া হয় না। বলা হয় ৫০০ গ্রাম মাংস বিক্রি হয় না। আবার ৫০০ গ্রাম দয়া মায়া করে নরম মনে দিলেও দাড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টাক্কে ঘন্টা। থাকলে সর্ব শেষ নিতে হয় সর্বি নয়,তো হাড়। খুবই দুঃখজনক আর বেদনার।একটু খেয়াল করলে দেখা যায়,বটিয়াঘাটা খুলনা গল্লামারী,বাগেরহাট রামপাল, দীগরাজ, পাইকগাছা,বারবাড়িয়া,কয়রা,সাতক্ষীরা, ডুমুরিয়া,বাজার গুলোতে ৬৫০ টাকা থেকে সর্বচ্চ ৭০০শ টাকা পর্যন্ত গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছাগল ভেড়া ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।কিন্তু, দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভার এলাকায় গরু মাংস ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এবং পাশাপাশি ছাগল ভেড়া ৯০০’শ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে। এ অসাদু ব্যবসায়ীরা অসুস্থ গরু ছাগল ভেড়া যাতে জবাই করতে ও বেশি দামে বিক্রি না করতে পারে সে বিষয়। চালনা পৌরসভাবাসি দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অসাধু কসায়দের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।