দাকোপের প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের সার্বিক সহযোগিতায় শারদীয় দুর্গা উৎসব


ডেস্ক রিপোর্টঃ সনাতনীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনে দাকোপের প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। খুলনার দাকোপ উপজেলায় এ বছর ৬৬টি মন্ডপে দূর্গা পুজার প্রস্তুতি শেষ মূহুর্তে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপুজা শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা এবার ৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়। আর শেষ হবে আগামী ১২ই অক্টোবর (শনিবার)। উৎসব চলবে ৪দিন ধরে।এ বছর নবমী ও বিজয়া দশমী পুজা একই দিনে পড়েছে। আর এই উৎসবকে ঘিরে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় দাকোপ উপজেলায়ও চলছে ব্যাপক আনন্দ ইমেজ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা দেবদেবীর কাছে চিরসুখের কামনা। সেই সঙ্গে প্রতিবারের ন্যায় প্রতিটি পূজা মন্ডপের সামনে বিভিন্ন আকর্ষনীয় সাজে লাইট বেলুন আলোকসজ্জা চিত্র। সব মিলে এক একটি সৌন্দর্য্যের বন্ধন মুখ পরিবেশ। এবার পূজা উদযাপনে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দাকোপ উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নের মোট ৬৬ টি স্থানে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ব্যক্তিমালিকানা বাইরে কোন অর্থ না নিয়ে নিজ অর্থয়ানে চালনা বাজার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিমাই সাহা তার বাড়িতে এ উৎসব পালন করছে।এ দাকোপে হিন্দু মুসলিম আর খ্রীষ্টান ৩টি ধর্মের মানুষের বসবাস। জনসংখ্যা বিবেচনায় হিন্দু সম্প্রদায় এখানে সংখ্যাগরিষ্ট। সঙ্গত কারণে দাকোপ জুড়ে প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা পূজায় জনসমাগম আর উৎসব আমেজে ভিন্ন মাত্রায় উদযাপন হয়ে থাকে। তেমনি এ বছরও দাকোপে ৬৬টি মন্দিরে পূজা পালনে প্রশাসন কঠোর ভুমিকায়। দাকোপ থানা অফিসার্স ইনচার্জের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে পুলিশ, সেনা বাহিনী, যৌতবাহিনীর বিশেষ টিম, বিজিব,আনসার, গ্রাম পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী। বিশেষ করে সরকার পরিবর্তনে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রাথমিক ধাক্কা সামলে যখন সনাতনীরা পূজা পালনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল তখন দাকোপে চাঁদা দাবি করে কে বা কারা উড়ো চিঠি দেয়।এবং সেই উড়ো চিঠির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে একটু আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা যায়। পরে অবশ্যই দাকোপ উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় উৎসব পালন করতে বাঁধা বা কোন প্রকার সহিংসতা না ঘটে সে বিষয় প্রশাসনের সাথে এক মতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কঠোর ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়, দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে মন্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি ইসলামি সমমনা দলের কর্মীসহ দাকোপ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।