ডেস্ক রিপোর্টঃ লাখো বাঙালির রক্তের বিনিময়ে আজ রক্ত দিয়ে কেনা সেই দিনটি। দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন। যথাযথ মর্যাদায়ে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দাকোপ উপজেলা বাসি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর ভাবে স্বরণ করেন। শহীদ মিনারে ফুল ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান, দাকোপ থানা পুলিশের কুচকাওয়াজ। তারপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সুখের পায়রা কবুতর ও বলুন উড়িয়ে দেন। এবং শুভ উদ্বোধনীয় বক্তব্য রাখেন,দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী ও তার সাথে উপস্থিত ছিলেন,দাকোপ থানা অফিসার্স ইনচার্জ আলহাজ্ব আঃ হক সাহেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিত চন্দ্র রায়। তারপর শুরু হয় প্যারেডের মাধ্যমে সম্মান জানানো।এক এক করে দলবদ্ধভাবে এগিয়ে যান মঞ্চের দিকে, সর্ব প্রথম এগিয়ে যায়, কুচকাওয়াজের প্রধান নেতৃত্বে দাকোপ থানা অফিসার এস আই মলায় কুমার, পাশাপাশি এগিয়ে যায়, গ্রাম প্রতিরক্ষা আনসার বাহিনী, ফায়ার ডিফেন্সসহ চালনা পৌরসভার অধীনের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এর পূবে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বক্তব্যে বলেন,শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবার রহমানের এবারে সংগাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেই দিন বাঙালি জাতি তার এই ভাষণের মাধ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দলমত ধর্মবর্ণ হিংসা অহংকার, সব ভুলে মোকাবেলা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সাথে। পাকিস্তানির হানাদার বাহিনীর সেই শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মুখে মোকাবিলার মাধ্যমে সংগ্রাম আর যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। কৃষক শ্রমিক দিনমজুর মালি জেলে সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একসঙ্গে, মুক্ত করেছিল এই সোনার বাংলাদেশ। বাঙ্গালী জাতিকে এনে দিয়েছিল তাদের আত্মত্যাগের বিনিয়ম এই লাল সবুজের পতাকা। আজ বাঙ্গালী জাতি ওই লাল সবুজের পতাকার মাঝে দেখতে পায় রক্তের প্রতিচ্ছবি। সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আজকে দিনটিকে গভীর ভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেছি। এর পূবে প্রশাসনের সাথে পৃথকভাবে সৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয়তা বাদী দল (বিএনপি) চালনা পৌরসভা পরিষদ,দাকোপ উপজেলা প্রেসক্লাব,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দাকোপ উপজেলা শাখা, দাকোপ উপজেলা রিপোর্টাস্ ক্লাব, দাকোপ উপজেলা ব্লাডব্যাংকসহ স্কুল কলেজ বিভিন্ন তিষ্ঠান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ