খুলনার দাকোপ উপজেলার ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের নলিয়ানে গৃহবধূর উপর হামলা মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গৃহ বধূ দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।গত ইং ৫সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের নলিয়ান গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাইফুল গাইনের স্ত্রী আমেনা বেগম (২২)কে একই এলাকার আজিজুর রহমান (আজু) মোল্লার পুত্র মোঃ মামুন মোল্লা বেধড়ক মারধর শ্বাসরুদ্ধ ও হত্যার চেষ্টা করে। গৃহবধূ আমেনা এখন দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে, তার অবস্থা আশংকাজনক।এ ঘটনায় গৃহবধূ পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আমেন খাতুন জানান, মামুনের সাথে আমার ননদের অনেক দিনের প্রেমের সম্পর্ক। তাদের সম্পর্কের বিষয় আমার শশুর শাশুড়ীসহ এলাকাবাসি সবাই জানে। তাছাড়া মামুনকে বার বার সর্তক করা হয়। সে কারো নিষেধ বারন শোনে না। তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী ও শশুর জঙ্গলে জীবিকার তাকিদে কাজে যায়।হঠাৎ ওই দিন রাতে মামুন আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমি আমার ননদের পাশে অনৈতিক কর্মকান্ড করা অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আমি মামুনকে বললাম, আমি সব বলে দিবো! সেই মহূর্তে মামুন দৌড়িয়ে এসে আমার মুখ ও গলা চেপে ধরে। আমার মুখ চেপে ধরে বিছানার উপর নিয়ে যায়, কিল-ঘুষিসহ আমার শরীরের উপর চালায় অমানুসিক নির্যাতন। আমার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরে।আমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওই সময় আমি কৌশল করি এবং মরার ভাবন করি। যখন ছেড়ে দিয়ে চলে যায় ওরা জানে আমি মোরে গেছি। ওই দিন আমি যদি মরার ভাবন না করতাম,তাহলে হয়তো আজ কথা বলতে পারতাম না। আমেনা খাতুন কেঁদে কেঁদে আরো জানান,আমি পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা। আমার নাক মুখ দিয়ে অনেক রক্ত পড়েছে।আমি অনেক দুর্বল ক্লান্ত। ডাক্তার বলেছেন, খুলনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। আমেনার এমন ঘটনার কথা শুনে উপস্থিত সকলের চোখে পানি চলে আসে। ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে ওই এলাকায় হাজির হলে,মামুন বা মামুনের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায় না। পরে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মামুনের চাচা গৃহবধূ আমেনাকে দেখতে আসে, তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মামুন আমার আপন ভাইপো,সকল ক্ষেত্রে ওদের ভালো মন্দ,আমাকে দেখতে হয়। তাছাড়া এমন ঘটনা জানার সাথে সাথে আমি হাসপাতালে এসেছি। অবশ্যই আগে রোগীর সুস্থ হোক। তিনি বলেন,এই যে ঘটনা ঘটেছে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরে মামুনের বাটন ফোনে বার বার কল করা হলে ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ