দাকোপের চালনাতে পরিবেশ বন অধিদপ্তরের আইন মানছে না মিল মালিকরা

ডেস্ক রিপোর্টঃচালনা পৌরসভা এলাকায় পরিবেশ বন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া চলছে কাঠকাটা অধিকাংশ সমিল। দাকোপ উপজেলা একটি সুন্দরবন এলাকার অংশ। সুন্দরবনের ঘা ঘেষে খুব নিকটে চালনা বাজার নামক ছোট একটি শহরে অবস্থিত। এই এলাকায় রয়েছে একাদিক কাঠকাটা সমিল। সরকারি ভাবে পরিবেশ বন অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী। চালনা শহর থেকে সুন্দরবন এলাকা ১০ কিলোমিটার দূরত্বের কম। তারপরও এলাকা জুড়ে রয়েছে একাদিক কাঠকাটা সমিল। নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পরিবেশ। সমিলের মালিকদের ক্ষমতা আর দাপটে অবৈধভাবে দিনের পর দিন সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে চলছে এ সমিল গুলো। বছরের পর বছর চললেও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।কঠোর কোন ব্যবস্থা। একটু চোখ রাখলেই একদমই মেইন রাস্তার পাশে কাঠকাটা সমিল। তার পাশ দিয়ে
সাধারণ মানুষের ও প্রশাসনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। এ সমস্ত মিলগুলো থেকে এলাকায় পরিবেশ দূষণে ব্যপক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত যাতায়াতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মিল থেকে উড়ে চোখে মুখে কাঠের গুড়া আর ধূলাবালি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নেই কোন সুন্দর পরিবেশ,খোলামেলা ভাবে চলছে।
এমন অভিযোগ সাধারণ জনগনের ও আচাভুয়া ভ্যানচালক সমিতির সদস্যদের এবং পথ যাত্রীদের। তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নদীর চরে ভাঙ্গন এলাকায় কুড়ে ঘরে থাকা স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গভীর রাতে ট্রলার যোগে প্রায় নদীর চরে, কে বা কারা? ট্রলার থেকে কাঠ নামায়। মাঝে মাঝে আবার, রাতের আঁধারে গোপনে সমিলে কাঠ কেটে তৎক্ষনিক ট্রলার যোগে আবার সরিয়ে ফেলানো হয়। তিনি আরো বলেন, এর সাথে জড়িত এলাকার প্রভাবশালী মহল। যাদের ভয়ে কেহ কোন কথা বলে না। বিশেষ করে নদীর চরে অবস্থিত মিলগুলোর পরিচালকরা এ অবৈধ কাঠ আনা ও নেওয়ার সাথে জড়িত বলে এলাকা বাসির ধারনা। তাই সাধারন জনগন দাকোপের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, আচাভুয়া বাজারে অবস্থিত সকল সমিলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশ বন অধিদপ্তরের অনুমোদনের আওতায় আনার দাবি জানান। এবং রাতের আঁধারে কোন কোন নদীর চরে অবস্থিত মিলগুলোতে অবৈধ কাঠ উঠানো নামানো হয়। সে বিষয় সঠিক তদন্ত করে অবৈধ অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ