দাকোপের খোনা গ্রামে গৃহবধূর উপর যৌতুকের দাবি,মারধর নির্যাতনে গৃহবধূ নিখোঁজ
ডেস্ক রিপোর্টঃখুলনার দাকোপ উপজেলার খোনা গ্রামে মারধর ও যৌতুকের নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ নিখোঁজ।গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ থানায়।
উপজলার ১নং পানখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইয়াকুব ফকিরের পুত্র ইখতার ফকিরের সহিত একই উপজেলার কামার খোলা ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামের আঃ সালাম শিকদারের কন্যার সহিত পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কয়েক বছর যেতে না যেতেই, সংসার জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। চলছিল সুখ-দুঃখ নিয়ে ছোট্ট-খাটো সমস্যা নিয়ে সংসার। তারই মধ্য গত ইং ০৬/০৭/২৪ জুলাই সকাল আনুমানিক ৮টার সময় হইতে ০৯/০৭/২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত জুলেখার স্বামী,শশুর-শাশুড়ী মিলে যৌতুকের টাকার দাবী করে জুলেখার নিকট।এবং সংসার হইতে তাড়াইয়া দেওয়ার প্রচেষ্টায় মারধর ও অত্যাচার নির্যাতন চালায়।এ ঘটনায় দাকোপ থানায় গৃহবধূর বাবা আঃ সালাম শিকদার একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি নিজে মুটোফোনে জামাইকে মারধর করিতে নিষেধ করেন। সর্ব শেষ ঐ দিন বিকাল ইং ০৯/০৭/২৪ তারিখ ৫টার সময় (ইখতার ফকির) জামাই শশুর আঃ সালাম শিকদারকে মুটোফোনে কল করে বলেন, আপনার মেয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। কোথায় গেছে আমরা জানি না। সাথে আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে গেছে। তখন আঃ সালাম শিকদার জামাইকে বলেন কোথায় গেল? এমনি এমনি কি কেহ বের হয়? এমন কথা বলতেই জামাই ইখতার ফকির অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন মুটোফোনে। পরে আঃ সালাম শিকদার সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ খবর করিয়া কোন সন্ধান না পাইয়া। নিরুপায় হয়ে উক্ত অভিযোগ খানা দায়ের করেন। গৃহবধূ পরিবার আলোর খবরকে আরো জানান, জুলেখা খাতুনকে প্রায় যৌতুকের টাকার জন্য শশুর বাড়ির লোকজন চাপ দিতো। সে বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে মুটোফোনে জানাতো। তাছাড়া প্রায় সময় তাকে মারপিট নির্যাতন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। বিশেষ করে জুলেখার পরিবারের ধারনা, তাহার উপর দীর্ঘ দিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাইয়া আসার কারণে সর্বশেষ কন্যাকে মারপিট করিয়া বাড়ি হইতে বাহির করিয়া দিয়েছে কিংবা তাহাদের হেফাজতে কোথাও আটক রাখিয়াছে। এ ঘটনায় জুলেখার পরিবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনী সুষ্ঠ সুবিচারের দাবি জানান।