দলিল যার জমি তার,দাকোপের নলিয়ানে কেন পীর আলীর জমি বেদখলে?

ডেস্ক রিপোর্ট

দাকোপের নলিয়ানে জোরপূর্বক জায়গায় দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে জিন্নাত আলী গাজী।

দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নলিয়ান বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশ্বের কোষ্ট গার্ড অফিসের সামনের জায়গা অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক দখলে রয়েছে ও ব্যবসা পরিচালনা করছে জিন্নাত গাজী।

সরজমিনে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, নলিয়ানের বাসিন্দা (ডিলার সাহেব) পীর আলী সানার ১৩শতক জমি কোন দলিল বা কোন কাগজ পত্র ছাড়া জিন্নাত আলী দখল করে বসে আছে।

এ বিষয় (ডিলার সাহেব) পীর আলী সানা সাংবাদিকদের জানান, আমি এখন নলিয়ান থাকি না, আমি চালনা পৌরসভা এলাকা সবুজ পল্লী নিজ বাড়িতে থাকি। আমি আমার জায়গা দেখা শোনা করার জন্য শাহাজান নামের এক ব্যক্তি(হুজুর) কে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি কয়েক বছর পূর্বে হঠাৎ আমাকে কিছু না বলে চলে যান।

পরবর্তীতে সেই রাতে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে, ওই এলাকার মুছা গাজীর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী। উক্ত ঘটনার বিষয় বিজ্ঞ আদালতে মামলাও হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।

এলাকা বাসি জানান, কয়েক মাস পূর্বে দাকোপ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সার্ভেয়ার হাদিসুর রহমান বিতর্কিত জমিতে তদন্তে আসেন।

উক্ত জমির ব্যাপারে সার্ভেয়ার হাদিসুর রহমান জমি পরিদর্শন করে এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে পরিষ্কার তথ্য দিয়েছেন যে,এ জমি (ডিলার সাহেবের) পীর আলী সানার। বর্তমান যিনি জমিতে অবস্থান করছেন, জিন্নাত আলী গাজী ওনি কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারি নাই।

এ বিষয় জিন্নাত আলী গাজীকে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন, মুছা গাজী ও মাজারুল গাজী আমাকে এ জায়গার উপর বসিয়ে রেখেছেন। তারা আমাকে বললে,আমি জায়গা ছেড়ে দিবো।

এখনে পীর আলী সানার এক মাত্র পুত্র মোঃ ওলি উল্লাহ সানা জানান,এটা আমার পৈতৃক ভিটা-জায়গা। এখানে আমাদের আরো অনেক জমি ছিল। সব নদীর গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন নদীর পাশে ১৩ শতক জায়গা সহ ভিতরের আরো জায়গা রয়েছে।

ওলি উল্লাহ সানা আরো বলেন, জোরপূর্বক জিন্নাত আলী গাজী, মুছা গাজী ও মাজারুল গাজীর নেতৃত্বে আমার জায়গা দখল করে বসে আছে।

পরে মুছা গাজী ও মাজারুলের সাথে কথা বলতে চাইলে মুছা গাজীকে পাওয়া গেলেও মাজারুলের সাথে দেখা করা সম্ভব হয়নি।

মুছা গাজী সাংবাদিকদের বলেন, আমার নিকট শাহাজান হুজুরের দেওয়া একটি স্টাম্প রয়েছে।
আমি স্টাম্পের ওপর ভিত্তি করে জায়গার দাবি করি।

এ বিষয় সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,জায়গা নিয়ে কোর্ট কাছারি চলছে। এ বিষয় হামলা মামলা চলছে। কোন অবস্থায় সমাধান হয়নি।

উক্ত জমির বিষয় জমির মালিক পীর আলী সানা (ডিলার সাহেব) বিশেষ ভাবে দাকোপ উপজেলা ভূমি কমিশনার (ভূমি অফিস) কে ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসন নজরে এনে তদন্তের মাধ্যমে সুবিচারের অনুরোধ করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ