জামায়াত-বিএনপির জোটের”গ্রেনেড হামলায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছিল:এমপি সালাম মূর্শেদী

মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম,খুলনাঃ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শেখানো পথ দিয়েই হাঁটছেন। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হামলা থেকে আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। জনগণের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে।২০০৪ সালে দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন তখনি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালায় জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলায় জীবন দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কৃপায় বেঁচে গিয়েছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে মেধা ও নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে ঘটনায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। দেশকে পাকিস্তানি পন্থায় পরিচালনা করতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।তিনি আরও বলেন, গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছিল তাদেরকে চিকিৎসা সেবাও নিতে দেওয়া হয়নি যাতে তারা রাস্তায় মারা যায়। এই ছিল তৎকালীন জোট সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা পরিণত হয়েছে। বারবার বাধা এসেছে, যাতে কোনোমতেই আওয়ামী লীগ সরকারে আসতে না পারে। সেই বাধা, ওই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের যারা মাস্টার বা প্রভু, তারা কিন্তু সেই চক্রান্তে এখনও লিপ্ত। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি।বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেই জন্য আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা সদরস্থ দলীয় কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলায় সকল শহিদদের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল ২১ আগস্ট বিকালে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস‍্য আ:মজিদ ফকির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি খান শাহাজাহান কবীর প‍্যারিস,সৈয়দ মোরশেদুল আলম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিব, এমডি রকিব উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক,প্রচার সম্পাদক আ:গফুর খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক স ম জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহেল জুনায়েদ, মিজানুর রহমান,আল মামুন সরকার। বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান মনি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক,বিনয় হালদার, মো:মঈন উদ্দীন,শক্তিপদ বসু, মাহবুবুল আলম,হাবিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আ:মান্নান শেখ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব দাস, শ্রমীকলীগের আহবায়ক মফিজুল ইসলাম,সদস‍্য সচীব আশরাফ আলী রাজ, উপজেলা শ্রমীকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম এ তাহের, তাহিদ মোল্লা, ফরিদ শেখ, ফ ম আইয়ুব আলী, আ:মজিদ শেখ,ইউপি সদস‍্য আলমগীর হোসেন শ্রাবণ, রেশমা আকতার,স্বপ্না পাল, লিপিকা দাস, রাবেয়া আকতার, যুবলীগের জসিম সরদার, রবিউল ইসলাম মেজবাবুল আলম, খায়রুজ্জামান সজল,সৈয়দ হেলাল, আবদুল্লা আল মামুন, আশিষ বিশ্বাস, জাহিদ হোসেন, সোহেল রানা, রোমেছা বেগম,কৃষক লীগের মাহমুদুল হাসান শামীম, ছাত্রলীগের সাফিউল ইসলাম হিমেলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি রকিব উদ্দীন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ