চালনা বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

মোকলেছুর রহমানঃ সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে সকল বোর্ডের অধীনে সকল বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার মাদ্রাসার অধীনে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাকোপ উপজেলায় মোট চারটি কেন্দ্রে এস এস সি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ১১৪ জন পরীক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ের উপর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুত্রে জানা যায়, নির্ধারিত সময় নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হয়। আজ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০৭ জন আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শনে যান,দাকোপ উপজেলা ভূমি সহকারী (কমিশন)পাপি সুলতানা এসিল্যান্ড মহদায়। তিনি পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করে ৩০২ ও ৪০২ নং পরীক্ষা কক্ষে উপস্থিত থেকে হাতে নাতে তিন জনকে নকল করা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক কাগজপত্র ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে নেন। জানা যায়,বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা হলেন, কাকড়া বুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী রহিমা খাতুন এবং বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসার দু’জন ফারিয়া আক্তার ও ফারহান শেখ এ তিনজনকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়। ঐ সময় পৃথক দুইটি কক্ষে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, ৩০২ নম্বরে কক্ষে মোঃ সাইফুল্লাহ সাহেব, নলিয়ান দাখিল মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক, এবং ৪০২ নম্বরে মোঃ মাসুম বিল্লাহ, রায়পুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। জানা যায়, মোট তিন জনের কাছ থেকে ১৫ টি নকল যুক্ত নোটবইয়ের পৃষ্ঠা ও হাতে লেখা কাগজ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় বিল্লালিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সপাল মোঃ ওজিবার রহমান সাহেব সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দু’শিক্ষক ও তিন পরীক্ষার্থীকে সাময়িক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা উদ্বতন কতৃপক্ষ গ্রহণ করবেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ