ডেস্ক রিপোর্ট:খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত এবং আহ্বায়ক শেখ মো. মোজাফফর হোসেনকে খুলনা জেলা বিএনপি সাময়িক বহিষ্কার করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, শেখ মোজাফফর হোসেন একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও কলম সৈনিক। তিনি দুইবার দাকোপ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানি করা হয়েছে, এমনকি কারাবরণও করতে হয়েছে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান সাময়িক বহিষ্কার আদেশটি কোনো সঠিক তদন্ত ছাড়াই গ্রহণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে শেখ মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “আমি সবসময় দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম। আজ যারা আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে, বিপদের সময় তাদের পাশে আমিই ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”এরই মধ্যে গত ১২ মে বিকেলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দাকোপ থানার তিনজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে এএসআই মো. আজহার উদ্দিন মাথায় মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পর থানা পুলিশ ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।ঘটনার পরপরই প্রশাসনের নির্দেশে এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারিতে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে দাকোপ থানা মোড় ও ডাকবাংলো এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।স্থানীয় নেতাকর্মীরা দ্রুত মোজাফফর হোসেনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ