ডেস্ক রিপোর্ট

দাকোপের চালনাতে অভিজিৎ সাহার নামে অবৈধ অর্থের অভিযোগ উঠেছে।এলাকায় জন সাধারণের মাঝে আলোচনার ঝড়।

খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা এলাকার চায়ের দোকানদার ও চালনা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সাহার পুত্র অভিজিৎ সাহার নামে অবৈধ অর্থের অভিযোগের খবর শোনা যায়।

দৈনিক সকালের সময় নামের একটি ফেসবুক পেইজে ,অভিজিৎ সাহাকে নিয়ে অবৈধ অর্থ ও জুয়ার সাথে জড়িত রয়েছে বলে একটি পোষ্ট দেখা যায়।

দৈনিক সকালের সময় এর ফেসবুকে পেইজে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে সে,অজানা আড়াল নেয়।তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করে আজ ও দেখা করা সম্ভব হয়নি।

পোস্টের এমন সংবাদে এলাকায় জনসাধারণের ভিতর এক কৌতুহল সৃষ্টি হয়। কে এই অভিজিৎ? কোথায় বাড়ি তার ? কি করেন তিনি? কি এমন ব্যবসা আছে তার ? কি চাকরিতে সে? ব্যাংক ব্যালেন্স কত? জমিজমা কোথায়?

এমন সব তথ্য নিতে সত্য প্রকশে দেশবাসির সামনে অনুসন্ধানে নামেন দৈনিক আলোর খবর। দৈনিক আলোর খবরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এ সকল তথ্য ।

জানা যায়,এই অভিজিৎ সাহা সামান্য একটি চাকরি করেন সেভেন আপ কোম্পানিতে। সে খুলনা জেলার দাকোপ ও বাটিয়াঘাটা উপজেলার সকল এলাকা গুলোতে এস আর এর দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি সামান্য বেতনে চাকরি করেন এবং দাকোপের চালনা বাজার শাখায় সকল ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিজিৎ এর নামে একটি ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে।

কিন্তু,তার একাউন্টে পাঁচশত টাকার কম রয়েছে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান।

এবার তার পরিবারের আয় রোজগারের খোঁজে,তার বাবা চালনা পৌরসভার চালনা বাজার তুলসীর ঘাট নামক স্থানে একজন সাধারণ চা বিক্রতা।

চালনা তুলসীর ঘাট নামক স্থানে দীর্ঘদিন একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের।এই চায়ের দোকান থেকে ও তার সামান্য বেতনে চলে তাদের সংসার ও যাবতীয় খরচ।

অভিজিৎ সাহার খোঁজে তার বাড়িতে অবস্থান করা হয়। জানতে চাওয়া হয় অভিজিৎ কোথায়? তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সন্তোষজনক ব্যাবহার পাওয়া যায় না।

পরে এলাকার এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে কল করা হয়। কয়েক বার মোবাইলে কল বাজার পর তিনি রিসিভ করেন,

এবং সাংবাদিকদের বলেন, আমি সেভেন আপ কোম্পানিতে খুলনা জেলার বাটিয়াঘাটা ও দাকোপে এস আর এর দায়িত্বে রয়েছি ।

আমাদের চালনা বৈরাগী বাড়ির পিছনে জায়গা রয়েছে এটা সত্য, কিন্তু দু বছর আগে কেনা। ওই জায়গা টুকু ছাড়া চালনাতে আমাদের আর কোন জায়গা নাই।

অভিজিৎ আরো বলেন, আমাকে জুয়ারী বলা হয়েছে। আমি নাকি জোয়ার সাথে জড়িত! আমাকে মিথ্যা বলে, আমার মানসম্মান নষ্ট করা হয়েছে। এটা পুরোটাই মিথ্যা বানোয়াট।আমি কোন দিন খারাপ কাজের সাথে জড়িত নয়।

তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ব্যাক্তি মিথ্যা বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার মানসম্মান নষ্ট করা হয়েছে। আমি দাকোপ থানায় একটি অভিযোগ ও করেছি।

সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে এখন পরিস্কার যে, অভিজিৎ এর বেতন , বাবার চায়ের দোকানের আয় নিয়ে জনসাধারণের মনে ভিন্নমত।

কিভাবে সম্ভব এক বছরে বাড়ি গাড়ি জমিজমা বিলাশবহল চলাফেরা। জানতে চাই দাকোপের চালনা বাসি ।

তাই এলাকা বাসি এ বিষয়ে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ