খুলনা -৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল

জি এম জিয়াউল হাসান জিল্লুর কয়রা প্রতিনিধিঃ ২০২৪ সালের শুরুতেই হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। খুলনা-৬ ( কয়রা – পাইকগাছা) আসন থেকে মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সফল ছাত্রলীগের সভাপতি (চুয়েট শাখা) তৃণমূলের পছন্দের নেতা ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল। দুটি উপজেলা ও একটি পৌরসভার দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষের পছন্দের এই মানুষটি এবার মনোনয়ন দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন। দুটি উপজেলার ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে। সবার ধারণা সাবেক সফল ছাত্রলীগের সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল মনোনয়ন পাইলে ভোটাররা খুশি হয়েই ভোট দিবেন। ছাত্রজীবন থেকেই নানাভাবে জনসেবামূলক কর্মকান্ড ও ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল ।২০০৫-২০০৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন ছাত্রলীগের সফল সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন সময়ে জামায়াত ও বিএনপির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতিকে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাংগঠনিক ভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল।২০০৬ সালের ৫ ই নভেম্বর জামায়াত বিএনপি বাঁধার মুখে সহাবস্থান থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন, পরবর্তীতে মিছিল টা ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল এর নেতৃত্বে সাউথ হলের সামনে যেয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সমাবেশ করেন । ঐ সমাবেশে নেতৃত্ব ও বক্তব্য দিয়েছিলেন আমাদের কয়রা পাইকগাছার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল।তৎকালীন সময়ে ছাত্রলীগের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাউজানের সাবেক সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী।ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল ছাত্রজীবন থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আছেন। সকল স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের জয়লাভ করিয়েছেন। এলাকায় সকল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ১০৪ খুলনা -৬ কয়রা পাইকগাছায় গণসংযোগে ব্যাস্থতা সময় পার করছেন ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল।কয়রা পাইকগাছার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনে স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় অংশ গ্রহণ করেন।উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও শেখ হাসিনার মনোনীত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল।করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোসহ তিনি দুই উপজেলার গরীব-অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষদের পাশে থাকেন সব সময়, গরীব পিতার সন্তানদের বই-খাতা কিনে দেয়া, ধর্মীয় উৎসব গুলোতে মানুষের পাশে সর্বদাই থাকেন তিনি। শুধু তাই নয় কয়রা পাইকগাছার কৃতি সন্তান হিসাবে অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। আইলা,আম্ফান,ফনি সহ বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে ভেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছেন। পাইকগাছা উপজেলার সৈনিক লীগের নেতা শাকুর পাশা জানান, ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল একজন সাহসী ও ভাল মানুষ হিসেবে সব জায়গায় পরিচিত, এমন মানুষকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত তো হবেনই পাশাপাশি দুটি উপজেলার উন্নয়ন আরো এগিয়ে যাবে। কয়রা পাইকগাছার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল একজন সৎ মানুষ এলাকার সন্তান আমাদের বিপদে আপদে তিনি সব সময় পাশে থাকেন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিগত দিনে দলের দুঃসময়ে তিনি আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি সব সময়ই নেতা কর্মীদের পাশে থেকে নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করেন এটা তার একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সব সময় খোঁজ খবর নেন‌ এটাই তার রাজনৈতিক বাস্তবতা। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে কেউ নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর না নিলে তিনি একমাত্র এলাকার সন্তান হিসাবে খোঁজ খবর নেন। ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল সাহসী ভুমিকা পালন করে আসছেন বিধায় আমরা এবার তাকে এলাকার সন্তান হিসাবে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা -৬ (কয়রা- পাইকগাছার) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল জানান, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন আর আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে কয়রা পাইকগাছার সন্তান হিসাবে দুটি উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো এটুকু প্রত্যাশা আছে এবং থাকবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ