মোকলেছুর রহমান

দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলায়ে কে এই শংকর বাবু? অবসরে গিয়েও সেই চেয়ারে বসে অফিসিয়াল কাজ করছেন।

খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কার্যলয়ে নিয়মিত সহকারী ডাক যোগাযোগের কাজ করেছেন এই শংকর বাবু।

অফিস সুত্রে জানা যায়, তিনি গত ইং ২০১৮ সালে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তার চাকরির মেয়াদ কাল শেষ হয়। তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করেন।

কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও শংকর বাবু যায়নি অবসরে। অবসরে না গিয়ে নিয়মিত সেই অফিসের চেয়ারে বসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শংকর বাবুর বিরুদ্ধে এমন সব একাদিক অভিযোগ নিয়ে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি যে অবসরে এটা সঠিক। কিন্তু, মিন্টু বিশ্বাস স্যারের অনুরোধে কাজ করছি।

দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালিন সময় অবসরের পরও শংকর বাবুকে অফিসে কাজ কারার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন বলে, জানান শংকর বাবু।

তারপর থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাসের যাবতীয় অফিসিয়াল সকল কাজ আগের মত করতে থাকেন।এবং মিন্টু বিশ্বাসকে ভিতরে ও বাইরে সকল কাজে সহযোগিতা করে চলেন।

গত ইং ১১ জুন রোজ রবিবার সময় ১১ টা ৩৫ মিনিট। অফিসে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, শংকর বাবু অফিসে নির্ধারিত সেই চেয়ারে বসে অফিসের কাজ করছে। তাছাড়া তিনি এই চেয়ারে প্রতিদিন বসে অফিস পরিচালনা করে চলেছেন।

শংকর বাবু সাংবাদিকদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখেই, তিনি দ্রুত তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়ে।এবং অফিসের ভিতর কথা বলে না।

গোপন সুত্রে জানা যায়, শংকর বাবু, এ চেয়ারে বসে হাতিয়ে নিচ্ছে গোপনে প্রকাশ্যে হাজার হাজার টাকা। সে অবসরে গিয়েও তার জায়গা ঠিক রেখেছেন।তার বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে।

তাছাড়া শংকর বাবুর বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগ পূর্বেও লিখিত আকারে বিভাগীয় অফিসে দেওয়া হয়। এবং সর্ব শেষ বিভাগীয় অফিস থেকে শংকর বাবুকে অফিসের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

শংকর বাবু বিভাগীয় আদেশও অমান্য করে তিনি দিনের পর দিন নিয়মিত ভাবে অফিস করে যাচ্ছে। তিনি কারো বাধা নিষেধ মানছে না।

তাছাড়া এলাকা বাসি আরো অভিযোগ করেন, এই শংকর বাবু, সরকারি অবসরে গিয়েও তিনি ছাড়িনি, সরকারি বসবাসের কোয়ার্টার। তিনি তার পরিবার নিয়ে উপজেলার কোয়ার্টার নিয়ে সুন্দর শান্তিপূর্ণ ভাবে কোন ঝামেলা ছাড়া বসবাস করে চলেছেন।

শংকর বাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানার জন্য খোঁজ নেওয়া হয়,তার পরিবারের। কোথায় তার পরিবার? কিভাবে শংকর বাবু জীবন যাপন করছেন?

উপস্থিত হয় অনুসন্ধানী দল,তার বর্তমান বসবাসের সরকারি কোয়ার্টার উপজেলা ভিতর বনবীথি বাসভবনের নিচেয়।

সাংবাদিকরা শংকর বাবুর সরকারী কোয়ার্টার বাসভবনের সামনে গিয়ে পৌছান জানতে চাওয়া হয়।এই বাসায় কারা থাকেন?কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দাড়িয়ে থাকেন সাংবাদিক অনুসন্ধানী টিম। অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর বেরিয়ে আসেন, শংকর বাবুর এক মাত্র পুত্র চালনা মহিলা কলেজের শিক্ষক।

এসেই তিনি সাংবাদিককের উপর রাগ্নিত্ব হন। তিনি স্থানীয় সাংবাদিক বলে,পূর্বের থেকে চেনা জানা রয়েছে এমনটা বলেন সাংবাদিককে হুমকি প্রদর্শন করেন।

কিন্তু, শংকর বাবুর পুত্র শিক্ষক, সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে হুমকির সুরে এমনটা প্রকাশ করেন যে, ব্যবসা বানিজ্য ছেড়ে কি, এখন আবার সাংবাদিকতা শুরু করেছেন? কবে থেকে শুরু করেছেন এ ধান্দা? যা করছেন,এটা ভালো হচ্ছে না। এই বলে তিনি আবার কোয়ার্টারে গিয়ে উঠেন।

দাকোপের সাধারণ মানুষ সুশীল সমাজ দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এবং সেই সাথে শংকর বাবুর বিরুদ্ধে সরকারী কোয়ার্টার দখল, অফিসে কাজ করা সহ ভিন্ন অনিয়মের সঠিক তদন্তের দাবি জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ