***মোকলেছুর রহমান ***

দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নে ২৩ বস্তা চাউলের প্রকৃত মালিক কে?এমন কৌতূহল দাকোপ বাসির।বাংলাদেশের বার বার প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সু্যোগ্য কন্যা রাষ্ট্র নায়ক বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপে পৃথিবীর কাছে এক বড় পরিচিত লাভের অধিকারী।বাংলার মানুষের দরদী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গরীবের পেটে লাথি মারা ব্যক্তি, চাল চোর, নিজ স্বার্থ বাদী,নকল নেতা সেজে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে নেতা সাজা, আমার দলের নেতা বা কর্মী হতে পারে না।যে পাঁচ কেজি চাউলের লোভ সামলাতে পারে না। গরীবের মুখের খাবার চিনিয়ে খায়। তার দ্বারা কোন দিন বাংলার মানুষের শান্তি কামনা করা যায় না।সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা হতে পারে না।কোন চাল চোর নেতা কর্মী আমি আওয়ামী লীগে দেখতে চায় না।আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর গড়া আদর্শের সংগঠন।আমি বলছি খুলনা বিভাগের,খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ বাংলার মানুষের কথা।এ উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন রয়েছে, এ ইউনিয়ন গুলো তিনটি নদীর ভাগাভাগীর মাঝে অবস্থিত।এ উপজেলার একদম সুন্দর বন ঘেঁষে অবস্থিত নদী মাতৃক ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়ন। এ সুতারখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ গরীব অসহায় পরিবারের বসবাস। সবাই দারিদ্রতা নিয়ে জীবন যাপন করে চলেছে।এদের দুঃখের শেষ নাই। নাই ভালো রাস্তা, নাই মাথা গোজার ঠাই। একটু ঝড় আর বৃষ্টিতে ছেড়ে দিতে হয় সামান্য তম বাসস্থল। এ দক্ষিণ অঞ্চলে বেশির ভাগ পরিবার জেলে নদীতে মাছ ধরে তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে চলে।গত ইং ২০ ই মে হইতে মৎষ্য অধিদপ্তর ও বন বিভাগ নদীর মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।তারই ধারাবাহিকতায় নদীতে জেলে নামতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জেলেদের একটু খানি খাবারের ব্যবস্থা করেন বাংলাদেশ সরকার মৎষ্য অধিদপ্তর।এ সুতারখালী ইউনিয়নের কয়েক দিন আগে দেওয়া হয়, সেই জেলে কার্ডের চাউল।জেলে কার্ডের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম অভিযোগ পাওয়া যায় এই ইউনিয়ন জুড়ে।সরজমিনে ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মুলত যে পরিবার নদীতে মাছ ধরে খায়, সে জেলে কার্ডের চাল থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া অনেক জেলেদের কার্ড থাকতে চাল পায়নি, অনলাইন হয়নি বলে।গোপনে খোজ নিয়ে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক জেলেকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৫৪ কেজি চাল দেওয়ার আদেশ থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৪৬/৪৭ কেজি পর্যন্ত।আবার কিছু কিছু জায়গায় খোজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের আত্মীয়ের মাঝে তালিকা করে চাল বিতরন করা হয়েছে।এমন সব অভিযোগ মিলে সর্ব শেষ, দাকোপ উপজেলার ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের অধীনে।গত ইং ৩০ই মে রোজ মঙ্গলবার মধ্যে রাতে দাকোপ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নলিয়ন বাজার সংলগ্ন কোষ্ট গার্ডের অফিসের দক্ষিণ পাশ্বের শিবশা নদীর তীরে। গোলাপ সরকারের ঘেরের পাশ্বে অবস্থান করে একটি চাল বহন ট্রোলার।তৎক্ষনিক দাকোপ থানা পুলিশের চৌকস টিম ট্রোলারে ২৩ বস্তা সরকারি চাউল যা সরকারি বস্তা ছাড়া সাধারণ বস্তায় রাখা অবস্থা উদ্ধার করেন।ওই সময় ট্রোলারে থাকা চারজন ব্যক্তিকে দাকোপ থানা পুলিশের টিম প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞেসা করেন।প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদ সূত্রে জানা যায়, উজ্জ্বল নামের এক ব্যক্তি খুলনা যাওয়ার জন্য ওই ট্রোলারে যাত্রী হয়ে উঠেন।বাকি তিন জনের কথা পুলিশের সন্ধেহ হওয়ায়। দাকোপ থানা পুলিশ ২৩ বস্তা চাল এবং ৩ জনকে ট্রোলার সহ জব্দ করে থানায় হাজির করেন।এমন সংবাদ বর্তমান ফেসবুক ও অনলাইনের মাধ্যমে দাকোপ উপজেলা সহ চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাকোপ থানা পুলিশকে সর্বস্তরের জনগণ সাধুবাদ জানান।কিন্তু,পরবর্তীতে কয়েক ঘন্টা পার হলেই সাধুবাদের পরিবর্তে জনসাধারণের মাঝে কৌহতূল আর আলোচনা শুরু হয়।এ আলোচনায় জনসাধারণের মাঝে এক দুঃখ জনক আভাস প্রকাশ পায়। এমন অবস্থার অবস্থা জানতে ও জানাতে অনুসন্ধান নামে আলোর খবরের সাহসী সাংবাদিকরা।শুরু হয় অনুসন্ধান, নলিয়ান বাজার, এলাকা বাসি,বাজার কমিটি, সাবেক স্থানীয় প্রতিনিধির ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, রাতে গোডাউন থেকে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় স্থানীয় লিভার দিয়ে চাল বহন করে ট্রোলারে উঠানো হয়।বাজার কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী আরো জানা যায়, ওই সময় গোডাউন থেকে সরাসরি সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় চাল উঠানো হয়।ঘটনার ঘটনাস্থল ৫নং ওয়ার্ডে হওয়ায়, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ ফকিরের নিকট জিজ্ঞেসা করা হলে,তিনি বলেন,আমার নামে যে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, এটার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি চাল সম্পর্কে কিছুই জানি না। কার ট্রোলারে চাল ধরা পড়েছে, তাও আমি জানি না।তিনি আরো বলেন, আমাকে একটি মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমার মানসম্মান ভাবমুর্তি নষ্টে লিপ্ত রয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইননুক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির বলেন,ওই চাল আমাদের এক দোকানদারের চাল,সে খুলনার উদ্দেশ্য বিক্রি করার জন্য রওনা হয়। তখন পুলিশ এসে নিয়ে যায়।পরে দাকোপ থানা পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া দাকোপের স্থানীয় সাংবাদিকরা এ বিষয় সব জানেন।দাকোপ থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, ৩০ই মে মধ্যে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তি দাকোপ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। প্রাথমিক ভাবে সরকারী চাল হিসাবে জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে এটা যে সরকারী চাল তার তথ্য মিললে ও সঠিক তথ্য প্রমান না পাওয়ায়, ছেড়ে দেওয়া হয়।তিনি বলেন, উক্ত চালের বিষয় বিজ্ঞ আদালতে লিখিত কপি পাটানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে চালের প্রকৃত মালিককে সকল তথ্য প্রমান দেখা দিতে হবে।পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ