খুলনার দাকোপে সংখ্যালঘুদের পাহারায় রাতভর ইসলামী আন্দোলন


ডেস্ক রিপোর্টঃ ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ” হিন্দু মুসলমান মিলেমিশে রইতাম। শান্তির বানী ঘরে ঘরে এমন স্লোগানে মুখরিত হোক বাংলা। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বসবাস করার অধিকার সবার রয়েছে। তেমনি রয়েছে সকলের চাওয়া পাওয়ারও স্বাধীনতা। খুলনার দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, রাতে মন্দির পাহারায় বিশেষ ভাবে বড় ভূমিকায় রয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মোজাহিদ কমিটি। পাশাপাশি রয়েছে জনপ্রতিনিধি এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সব মিলে একত্রিতের এক শান্তির আভাসের চিত্র। জানা যায়,গত ৫ আগস্ট ছাত্র সমন্বয় বৈষম্যবিরুদ্ধী আন্দোলনে মুখে শর্তে পড়ে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাশীন বড় শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ। তখন এক দফা এক দাবি প্রধান মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি। শুরু হয় দিন ভর কঠিন আন্দোলন। গণভবন ঘেরাও সহ ছাত্র-ছাত্রীদের দখলে চলে আসে সরকারের সকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মকর্তারা।ঐ সময় গোপনে শেখ হাসিনা সেনা বাহিনীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে,তাদের সহযোগিতায় দেশ ছাড়েন বোন রেহানাকে নিয়ে। পাহাড়ি দেন ভারতের কলিকাতায় গিয়ে। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিরুদ্ধী দলগুলো জেলা- উপজেলায় আনন্দ মিছিল সহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনায় বসেন। পাশাপাশি দুঃখ কোপ নিয়ে জমায়েত হতে থাকে স্ব স্ব দলের সিনিয়র জুনিয়রদের সাথে। খুলে দেওয়া হয় দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অফিস প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে শুরু হয় পদত্যাগের খবরে সব দলের আনন্দ মিছিল আর আয়োজন। মুক্ত পাখির মত উড়তে থাকে মিথ্যা হামলা মামলার ষড়যন্ত্রের শিকার নেতা কর্মীরা। এ সুযোগে দেশের চলমান রাজনৈতি ও পরিস্থিতিকে ব্যক্তি স্বার্থে পুজি করে সুযোগ বাদী কিছু দুষ্কৃতকারীরা অশান্তি সৃষ্টি করা ও যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন দেশের মন্দির মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠালয় ভাঙ্গাচুর সহ অগ্নিসংযোগ জ্বালাও পড়াও করতে লিপ্ত হয়। আর তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কঠিন ভূমিকায় সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়িয়ে যায়, ইসলামি দলগুলো রাজনৈতিক দলসহ দেশের সাধারণ মানুষ।সর্ব শেষ গত ইং ৭আগষ্ট রোজ বুধবার রাত ১১ টায় দেখা যায়,চালনা বৌমার গাছতলা কেন্দ্রীয় রাঁধা গোবিন্দ মন্দির ও চালনা পৌরসভার এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের হরি মন্দির পাহারায় রয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। এ সময়ে মোজাহিদ কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়, আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফি) ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী সরোয়ার হোসেন।