ডেস্ক রিপোর্ট

খুলনার দাকোপ উপজেলায় নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানের মোঃ হাসিব শেখের বিরুদ্ধে একাদিক অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশের অতদরিদ্র নিয়ে আর্থিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান নবলোক এনজিও দীর্ঘদিন সুনামের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে আর্থিক সহযোগিতায় বিশেষ ভূমিকায় সুনামের সাথে কাজ করে চলেছেন।

তেমনি দাকোপ উপজেলায় অর্থিক সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান নবলোক এনজিও,গরীব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এবং সাহায্য সহযোগিতায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে গরীবের আর্থিক সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতি মুক্ত, প্রতারক চক্র মুক্ত, নির্লোভী, নিঃস্বার্থ একটি প্রতিষ্ঠান নবলোক।

এ প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কল্যাণে আর্থিক সহযোগিতায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বিদেশি অর্থয়ানে এ নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রত্যন্ত গরীব অসহায় পরিবার নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।

তেমনি খুলনার দাকোপ উপজেলায় নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানটি আসে গরীব অসহায় পরিবারের একটু অর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে।

তারই ধারাবাহিকতায় দাকোপ উপজেলায় নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত মোঃ হাসিব শেখ।

তার কাছে দেওয়া হয় দাকোপের গরীব অসহায় পরিবারের দায়িত্ব। সামান্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি দীর্ঘ দিন দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে গরীব অসহায় পরিবার নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব পান।

কিন্তু,এই হাসিবের দায়িত্বে চরম দুর্নীতি আর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তার বিরুদ্ধে দাকোপের অনেক এলাকার একাদিক গরীব অসহায় পরিবারের অভিযোগ।

নবলোক এনজিও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে দিনের পর দিন,সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছে। তার ইচ্ছা মতে সুবিধা হাসিলে লিপ্ত।

এই হাসিব শেখ,একজন অর্থলোভী যুবক। তার মিষ্টি আলাপের মায়ায় জড়িয়ে সহজে যে কোন,ব্যক্তিকে বস করে নেয় এবং সহজে যে কোন ব্যক্তির ভিতরে প্রবেশ করে সে।

হাসিবের বিরুদ্ধে দাকোপ উপজেলা বাসির একাদিক অভিযোগ ও অনিয়মে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার বাস্তব চিত্র।

জানা যায়,দাকোপ উপজেলায় নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ হাসিব শেখ। এ হাসিব দীর্ঘদিন দাকোপে কাজ করে চলেছেন।

এ হাসিবের দায়িত্বে চরম অবহেলা সহ অনিয়মের চিত্র রয়েছে। সে অর্থ লোভী একজন যুবক তার প্রমাণও মিলেছে।

দাকোপে নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানের দাকোপে দায়িত্ব প্রাপ্ত মোঃ হাসিব শেখ। বিভিন্ন এলাকায় কমিশনের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবারকে অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের অনেক এলাকা ঘুরে ও গোপন সংবাদের ভিত্তি জানা যায়, এ হাসিব মৎষ্য ঘের, কাঁকড়ার ঘের, পুকুরের দু পাহাড়ে সবজির চাষ, পুকুরে মাছ চাষ,পশু পালন, ও ফসলী শাকসবজি ক্ষেতের জন্য নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে সহযোগীতার কথা থাকলেও হাসিব নিয়েছে হাজারে কমিশন।

তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের নামে লোক দেখিয়ে নিয়েছে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে।

যেমন,প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ না করে, প্রশিক্ষণের রেজুলেশন খাতায় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা। রেজুলেশন খাতায় তার ইচ্ছা মতে সুবিধা অনুযায়ী উল্লেখ্য সদস্যের নাম প্রস্তুত করা সহ হাসিব নিয়েছে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে।

তাছাড়া দাকোপ উপজেলায় এই হাসিব কাজ করতে এসে এক বড় ইতিহাস গড়েছেন। তার মত ইতিহাস পূর্বে কেহ গড়েছে কি না জানি না।

এ হাসিব, প্রেম ভালো বাসা প্রীতি করে লোক সমাজে মানুষের মুখে মুখে এক আলোচনার ঝড় তুলেছেন।তিনি মমতাজের তাজ মহল ও শাহাজানের তাজমহলের নামের ইতিহাসের সুবিচারের সুনাম ক্ষুন্ন করে, বদনামের বাল্যবিবাহ করতে পিছিয়ে নাই।

এর পূর্বে হাসিব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কালো বরকা পরা মেয়েকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করতে দেখা যায়।

তাছাড়া চালনা পৌরসভা এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের চোখে বিষয়টি নজরে পড়ে।

সর্ব শেষ গত ইং ৪ জুন চালনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের টিটা পল্লীর নাবালিকা মেয়েকে তার কলেজ থেকে ফুসকিয়ে নিয়ে উধাও হয়।

পরবর্তীতে মেয়ের কলেজ সময় শেষ হলে যখন বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হয়। তখন পরিবারের আত্মীয় স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুজি করেন।

পরে চার দিন পর, বিভিন্ন লোকের মাধ্যেমে খবর আসে, নবলোক এনজিও এর মোঃ হাসিব শেখ চালনা পৌরসভা এলাকার গোড়কাটি গ্রামের আঃ সালামের বাড়ি ভাড়া বাসায় উঠেছেন।

এমন সংবাদ এলাকায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে,সেখানে তৎক্ষনিক ভাবে অবস্থান করেন এলাকার স্থানীয় সুশীল সমাজ, গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ ও সাংবাদিকরা।

তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা হাসিবের মেয়ের বয়স কম, তাছাড়া এটা বাল্যবিবাহ ও আত্ম গোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

সে নাবালিকা এনজিও প্রতিষ্ঠানের সুনামের নামটি ক্ষুন্ন করে ক্ষমতা ফুলাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তাছাড়া দাকোপের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় তিনি, লোক সমাজে পরিচায় প্রদান করেছেন যে, সরকারি উচ্চ পদীয় কর্মকর্তা আমার আত্মীয়। আমি যাহা ইচ্ছা তাই করবো তাদের নাম ব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনে লিপ্ত এই হাসিব।

গত ইং ৮ জুন হাসিব আঙ্গুল উঁচু করে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে উচ্চ সুরে, এক সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রশাসন ও সাংবাদিক আমার পকেটে থাকে।এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদে  হুমকি প্রদর্শন করার উক্ত বিষয় সাংবাদিক দাকোপ থানায় একখানা জিডির প্রস্তুতি ও আলোচনা চলছে।

এখানে দুঃখ জনক বিষয় যে, তাকে নবলোক এনজিও প্রতিষ্ঠানটি নিঃস্বার্থ ভাবে এলাকায় গরীব অসহায় পরিবার নিয়ে অর্থিক সাহায্য সহযোগিতায় কাজ করার কথা থাকলেও তিনি সঠিক ভাবে কাজ করেছে না।

এ বিষয় দাকোপ উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষ, দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হাসিবকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ