খুলনার চালনা লঞ্চ ঘাটে চলছে অতিরিক্ত যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়
![](https://alorkhabor.com/wp-content/uploads/2023/07/Screenshot_20230723-143213.jpg)
![](https://alorkhabor.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
খুলনার চালনা লঞ্চ ঘাটে চলছে অতিরিক্ত যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়
***মোকলেছুর রহমান ***
চালনা লঞ্চ ঘাট চলছে ইজারাদার আঃ সালামের ইচ্ছা মতে। জনসাধারণের একাদিক অভিযোগ।
খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভার এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের অধীনে চালনা বাজার লঞ্চ ঘাট। এ লঞ্চ ঘাটে সরকারি কোন নিয়ম নিষেধ ছাড়া। ইজারাদারের ইচ্ছা মতে চলছে।
সরজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে টোল চার্ট নাই। যাত্রীদের বিশ্রামের রুম গুলোর অবস্থা নোংরা, অপরিষ্কার পরিবেশ। ময়লা আবর্জনায় দূরগন্ধ,
যাত্রীদের বসার স্থানে মশা মাছির খেলা।
তাছাড়া যাত্রীদের পাবলিক টয়েলেটের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।প্রচন্ড গন্ধ,করা হয় না পরিষ্কার।
কোন অবস্থায় সরকারী কোন নিয়ম নিষেধ ছাড়া, নিজের খেয়ালে, নিজমতে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিচ্ছে টাকা।
জনপ্রতি ১০ টাকা, আবার যদি হাতে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে কিছু থাকে তাহলে তো রেহাই নাই । তাতেও গুনতে হচ্ছে টাকা।
আজ শনিবার ২২ জুলাই খুলনা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চের এক যাত্রী মধ্যম বয়সী আফজাল হাওলাদার গোড়কাটি, তিনি বলেন, আমি অনেক দিন এ পথে চলাচল করি। বিশেষ করে লঞ্চে খুলনা যাওয়া আসা করতে হয়। আমার লঞ্চে চলতে ভালো লাগে।
প্রায় ত্রিশ বছর ল চালনা লঞ্চে আসা যাওয়া। আমার জীবনে কোন দিন পাঁচ টাকার বেশি ভাড়া নেয়নি। আজ গুতে হচ্ছে ১০ টাকা। এর আগে পাঁচ টাকা দিয়েছি। এই নতুন ইজারাদার এসে ১০ টাকা করেছে।
তাছাড়া আমি অনেক সময় লঞ্চে করে খুলনা থেকে মালামাল নিয়ে আসি। কখনো ভাড়ার জন্য জোর করে না কেহ! কিন্তু, বর্তমান ইজারাদারের ব্যবহার মোটেও ভালো নয়। সে টাকা ছাড়া চেনে না।
ইজারাদার আঃ সালামের নিকট সকল অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, সব জায়গায়, সব ঘাটে ১০ টাকা নিচ্ছে। তাই আমিও যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা নিচ্ছি। অনেক টাকা দিয়ে ঘাট কেনা। টাকা তো উঠাতে হবে।
ঘাটের টোলের বিষয় তিনি বলেন, টোল অবশ্যই টানানো হবে, আমাকে সময় দিতে হবে। সব তো মুখের কথা নয়। আপাতত এভাবে চলছে, চলবে।
এমতাবস্থায় চালনা লঞ্চ ঘাট পুরাতন একটি ঘাট। এ চালনা লঞ্চ ঘাটের অনেক সুনাম রয়েছে। এ ঘাটের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে দাকোপের মানুষের। তাই দাকোপ বাসি ঘাটের এমন পরিস্থিতির অনিয়মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। পাশাপাশি দাকোপ উপজেলার সুযোগ্য নব-নিযুক্ত নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।